অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ইলেক্টোরাল ভোটের হিসাবে বাইডেন পেয়েছেন ১৯২ ভোট আর ট্রাম্প পেয়েছেন ১১৪ ভোট।
যে প্রার্থী ২৭০ ইলেক্টোরাল ভোট পাবেন তিনি নির্বাচনে জিতে যাবেন।
কিছু কিছু অঙ্গরাজ্যে ভোটগ্রহণ শেষ। এখন ভোটগ্রহণ চলছে পশ্চিমাঞ্চলে। এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ১২ অঙ্গরাজ্যে জো বাইডেন ও ১১ অঙ্গরাজ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে রয়েছেন। খবর বিবিসির
এবার ১০০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পড়ার ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে আমেরিকা। গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার পরাজিত হলে তা হবে ১৯৯২ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশের পর প্রথম কোনো প্রেসিডেন্টের পুনঃনির্বাচনে হার। জাতীয় জরিপ বলছে, জো বাইডেন সুস্পষ্টভাবে এগিয়ে। যদিও প্রেসিডেন্ট হতে হলে মূল ব্যাটলগ্রাউন্ডগুলো জিতে আসতে হবে তাকে।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় আর বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় স্থানীয় সময় রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ৮টায়)।
ভোটের শুরুতেই কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। এবার নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার আশঙ্কা যেমন আছে, তেমনি আছে জয়-পরাজয় নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সম্ভাবনা।
পরিস্থিতি এতটাই উত্তেজনাপূর্ণ যে, সহিংসতার আশঙ্কায় দেশজুড়ে অনেক দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগে থেকেই বন্ধ রাখা হয়েছে। জনমত জরিপ সত্য হলে বাইডেনের সহজেই জয়ী হওয়ার কথা, এমনকি তার ভূমিধস জয়ও অসম্ভব নয়।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে ভোটের জটিল সমীকরণে আবারও ‘ট্রাম্পকম্প’ হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশ্নেষকরা। তবে গাণিতিক হিসাবে বাইডেনের জয়ের সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ আর ট্রাম্পের ১০ শতাংশ। মনে রাখতে হবে, ২০১৬ সালের নির্বাচনে এমন এক পরিস্থিতির মধ্যেই জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন ট্রাম্প।