সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার বাঁশদহায় শুরু হয়েছে ইউপি নির্বাচনে প্রতীক নিয়ে লড়াই

By daily satkhira

November 16, 2020

আব্দুল জলিল : কয়েক মাস যেতেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন । সাতক্ষীরার সদর উপজেলার ১নং বাঁশদহা উইনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নিয়ে শুর হয়েছে লড়াই। চায়ের দোকান, হাট-বাজার, কৃষকের ফসলে মাঠ সর্বত্র চলছে আলোচনা সমালোচনা। কে হবে আগামী নির্বাচনে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। তবে সাধারণ মানুষ বলছে আওয়ামীলীগের প্রার্থী নির্বাচনে জয় লাভ করবে। বিএনপি সামর্থকরা বলছে সুষ্ঠ নির্বাচন হলে ধানের শীষের প্রাথী জয়লাভ করবে। জাতীয় পাটির প্রার্থী জয় লাভের আসায় মাঠে রয়েছে। তবে দলীয় প্রতীক নিতে স্ব-স্ব দলের প্রাথীদের মধ্যে চলছে লড়াই । ইউনিয়নের ভোটারদের সাথে কথা বলে জানাযায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে একাধিক প্রাথী মাঠে নেমেছে। নৌকা প্রতীক নেওযার জন্য মাঠ চষে বেড়াচ্ছে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম মোশারাফ হোসেন। তিনি দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে সব সময় যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। এছাড়া জেলা আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে তার সম্পর্ক বেশ মজবুত। সদর উপজেলা আওয়ামীলীগে তার শক্ত অবস্থান। তিনি বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে ইউনিয়নে উন্নয়ন মূলক কাজও করেছেন। গত নির্বাচনে ইউনিয়ন পর্যায়ের দলের অনেক শীর্ষ নেতা তার বিরোধীতা করে ছিল। নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীও ছিল।এত সবের পরেও সে বিপুল ভোটে জয় লাভ করে। দলমত নির্বিশেষে সব মানুষের সাথে এসএম মোশারাফের সুসম্পর্ক রয়েছে। সে কারনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলে এস এম মোশারাফ হোসেন নিশ্চিত জয় লাভ করবে। সে কারণে দল তাকেই মনোনয়ন দেবে এমনটাই ভাবনা আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের । তবে নৌকা প্রতীক নিতে তার সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার মফিজুর রহমান। সাতক্ষীরা সদর আসনের এমপির সাথে তার রয়েছে দহরম মহরম সম্পর্ক। তার পিতা মোফজুলার রহমান খোকন দীর্ঘদিন এই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। পরে তিনি সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলার সহসভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ছয়দফা কর্মসূচী রচিয়তা, আগড়তলা মামলার আসামী, গনপ্রজাতন্ত্র বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মুখ্য সচিব, জাতীর জনক বঙ্গ বন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট রুহুর কুদ্দুস তার সম্পর্কে দাদা হয়। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কমীদের সাথে রয়েছে ভাল সম্পর্ক। সব মিলিয়ে নৌকা প্রতীক পাবেন মাষ্টার মফিজুর রহমান এমনই আশা করেন তার সামর্থীত ভোটাররা । এছাড়া নৌকা প্রতীক নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন সাবেক চেয়ারম্যান অজিহার রহমানের ছেলে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক উপাধ্যক্ষ শাহাজান সিরাজ। তিনি ইউনিয়নে সাধারণ ভোটারদের সাথে ইতি মধ্যে সভা সমাবেশ করে বেড়াচ্ছেন । ধানের শীষ প্রতীক নেওয়ার জন্য মাঠে রয়েছে দল বদল করা বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাস, সাবেক চেয়ারম্যান নাছিমুল হক খোকা। তারা ইতি মধ্যে নেতাকর্মীদের সামর্থন আদায় করার জন্য ইউনিয়নের এক প্রান্ত থেকে অপার প্রান্ত ছুটে চলেছেন । তবে জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা রমজান আলী দলের পক্ষ থেকে ভোট করবেন। তিনি দলের সামর্থন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে বলে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন।সুষ্ট ভোট হলে প্রতীক যাই হোক না কেন তার দল নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানান তিনি । এছাড়া জাতীয় পাটির লাঙ্গল প্রতীকের জন্য একক প্রাথী হিসেবে মাঠে রয়েছে সদর উপজেলা জাতীয় পাটির সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান বিপুল। তিনি গত নির্বাচনে অল্প ভোটে পরাজিত হয়ে ছিলেন। এবার তিনি অনেক আগে থেকেই মাঠে নেমেছেন।এছাড়া তার দুই চাচা দীর্ঘ দিন ধরে এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ছিলেন। তবে তিনি এলাকায় কম আসায় তার নির্বাচনের বড় বাধা হয়ে দাড়িয়েছে সতন্ত্র প্রাথী নাজমুল হোসেন । জাতীয় পাটির সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান বিপুল এর অনেক কর্মী নিয়ে সতন্ত্র প্রাথী হিসেবে মাঠে রয়েছে নাজমুল হোসেন। এলাকার ভোটাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগামী নির্বাচনে যেই দলের প্রাথী জয় লাভ করুক না কেন ভোটের হিসাব নিকাশ হবে সতন্ত্র প্রাথী নাজমুল হোসেনের সাথে। কারণ হিসাবে তারা জানালেন, এই ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে মজুমদারের খাল। ইউনিয়নের ভোটাদের বৈশিষ্ঠ হল খালের এক পাশের ভোটাররা অন্য পাশে ভোট দিতে চায় না। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিজের এলাকার প্রাথীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করে ভোটাররা। এছাড়া সব দলে আরো অনেকে প্রাথী হওয়ার জন্য ইতি মধ্যে সাইন বোড, ব্যানার, ফেসটুন ঝুলিয়েছে হাট-বাজার, মোড়, দোকান পাটের সামনে । তবে কে হবেন আগামী দিনে বাঁশদহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তা দেখার জন্য ইউনিয়নবাসিকে অপেক্ষা করতে হবে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত ।