শ্যামনগর প্রতিনিধি : শ্যামনগরের কৈখালীতে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা থেকে বালু উত্তলনের অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের গোলাখালী ভাঙ্গন কবল থেকে বালু উত্তলন করে কৈখালী বিজিবি ক্যাম্পের জায়গা ভরাট করা হচ্ছে। সাইফুল ইসলাম নামীয় একজন ঠিকাদারের মাধ্যমে গোলাখালী বালুর চর নামক স্থান থেকে কার্গোর ড্রেজিং মেশিন দিয়ে বালু উত্তলন করে বিজিবি ক্যাম্পের জায়গা ভরাট করছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক রেজিস্টার্ড নং ডি এ-১ গেজেটে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিশাখা-২ প্রজ্ঞাপনে ২৪ মে, ২০১৭ খ্র্স্টিাব্দ, নং ২২.০০.০০০০.০৭৩.১৩.০০৪.২০১৪-১৩৬ প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিবেশগত মান উন্নয়ন এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমন এবং টেকসই পরিবেশ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১ নম্বর আইন) এর ৫ নম্বর ধারার উপধারা (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ১৯৯৯ সালে সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্টের চতুর্দিকে ১০ কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকাকে সরকার কর্তৃক প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (Ecologically Critical Area, ECA/ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীকালে ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি তারিখে সুন্দরবন প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার মৌজাসমূহের নাম সন্নিবেশ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ প্রজ্ঞাপনটি ১৩ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে ২২.০০.০০০০.০৭৩.১৩.০০৪.২০১৪/১৩ সংখ্যক স্মারকে জারীকৃত প্রজ্ঞাপনের স্থলাভিষিক্ত হল। সুন্দরবন প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকার সকল পূর্ণ ও আংশিক মৌজার নাম এ সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে সন্নিবেশ করা হয়। সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্টের চতুর্দিকে ১০ কিলোমিটার বিস্তৃত ইসিএভুক্ত এলাকা হিসাবে শ্যামনগরের ৫২টি গ্রাম (Ecologically Critical Area, ECA/ইসিএ/ইসিএ) এলাকা দেখানো হয়েছে। তার মধ্যে গোলাখালী বালুর চরও।
তবে প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা থেকে বালু উত্তলনের ঘটনায় ঠিকাদার সাইফুল বলেন, বিজিবি রিভারাইন কর্ণেল মিল্টন কবীর স্যার সাথে কথা বলেন। আমি তার কাছ থেকে এই কাজটি পেয়েছি। নীলডুমুর ১৭ বিজিবি রিভারাইন সিও লে: কর্ণেল মিল্টন কবীর বলেন, আমি ডিসি স্যারের কাছ থেকে সরকারী কর দিয়ে বালু উত্তলনের অনুমোদন নিয়ে এসেছি। তবে জেলা প্রশাসক মহোদয় বালু উত্তলনের বিষয়টি প্রতিবেদন চেয়ে কৈখালী ভূমি কর্মকর্তা সুধীন কুমারের কাছে কাগজপত্রাদী প্রেরণ করলে সুধীন কুমার ঠিকাদারের সাথে অর্থিক লেনদেনে জড়িয়ে বালু উত্তলনের উপযোগী হিসাবে প্রতিবেদন দাখিল করেন। কৈখালী ভূমি কর্মকর্তা সুধীন কুমার বলেন, আমার আগে যে ভূমি কর্মকর্তা ছিলো সেই রিপোর্ট দেখে আমি পৌনরয় প্রতিবেদন দিয়েছি।
উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, ডিসি স্যার পার্মিশান দিয়েছেন। আমি কি বলতে পারি। আপনি একটু স্যারের সাথে কথা বলেন। তবে সচেতন মহল জানিয়েছেন, কিছু অসাধু ঠিকাদার নিয়মনীতি অমান্য করে প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা থেকে বালু উত্তলন করে নষ্ট করছে পরিবেশ।