স্বাস্থ্য

হাইপারটেনশনের ঘরোয়া প্রতিকার

By Daily Satkhira

May 13, 2017

হাইপার-টেনশন হলো উচ্চ রক্তচাপজনিত একটি সমস্যা। হৃদরোগ, স্ট্রোক, বৃক্কের সমস্যা, অকাল মৃত্যু, বিকলাঙ্গতা ইত্যাদি সবকিছুর পেছনেই এই সমস্যার অবদান আছে। হাইপার টেনশন নীরব ঘাতক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগী নিজেই জানেন না তার রোগ সম্পর্কে। ফলে বুঝে ওঠার আগে শরীরের ক্ষতি হয়ে যায়। তবে কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করলে হাইপার-টেনশন প্রতিকার করা সম্ভব। জেনে নিন হাইপার-টেনশনের কিছু ঘরোয়া প্রতিকার।

কাঁচা রসুন রসুন রক্তে নাইট্রিক অক্সাইড এবং হাইড্রোজেন সালফাইড উৎপাদন করে। ফলে রক্তনালী শিথিল হয় এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। ফলে হাইপার-টেনশন কমে। তাই প্রতিদিনের খাবারে অন্তত দুই টুকরা কাঁচা রসুন যোগ করুন।

ডাবের পানি ডাবের পানিতে ভিটামিন সি, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা সঠিক পেশী কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রণ করে। বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণ প্রমাণিত হয়েছে যে ডাবের পানি নিয়ন্ত্রণ ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করে। তাই, হাইপার টেনশন কমাতে প্রতিদিন সকালে এবং রাতে এক কাপ করে ডাবের পানি পান করুন।

পটাশিয়াম যুক্ত খাবার পটাসিয়াম শরীরে সোডিয়াম এর প্রভাব কমাতে সহায়তা করে। হাইপার টেনশন কমাতে খাবার তালিকায় পটাসিয়াম যুক্ত খাবার রাখুন। প্রতিদিন একটি বা দুইটি কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও খাবার তালিকায় কিশমিশ, পালং শাক, জুকিনি এবং বেক করা বা পোড়ানো মিষ্টি আলু রাখুন।

অ্যালকোহল ও তামাক হাইপার-টেনশনের সমস্যা কমাতে অ্যালকোহল এবং তামাক পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন। অ্যালকোহল এবং তামাক হাইপার-টেনশন বাড়াতে সহায়ক। সবচেয়ে মারাত্মক বিষয় হলো, অ্যালকোহল এবং তামাক রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ঔষধগুলির কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।

ব্যায়াম হাইপার-টেনশন কমাতে প্রতিদিন ব্যায়াম করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ৩০-৬০ মিনিট শরীরচর্চা করলে হাইপার-টেনশনের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। শরীরচর্চা হিসেবে সাইক্লিং, সাতার, হাটা অথবা দৌড়ানোকেও বেঁছে নিতে পারেন। ফেমিনা।