জাতীয়

বিজয় দিবসে ঘরোয়া অনুষ্ঠান করতেও পুলিশকে জানাতে হবে

By Daily Satkhira

December 01, 2020

অনলাইন ডেস্ক : আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়া অনুষ্ঠান করা যাবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘কিন্তু সেই বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে (পুলিশ) আগে জানাতে হবে।’

মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গৃহীত জাতীয় কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় ভার্চুয়াল সভা শেষে মন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা আশঙ্কা করছি মহান বিজয় দিবসে আনন্দের দিনে লোকজন বাইরে বেরিয়ে আসবেন। বেরিয়ে এলে আমরা তাদের নিরাপত্তা দেব কিংবা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে চলবে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিজয় দিবসে যেসব কর্মসূচি দিয়েছে সেগুলো যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালনের জন্য সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিজয় দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইনডোর বা ঘরোয়া অনুষ্ঠান যারা করতে চান তারা করতে পারবেন। কিন্তু সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আগে জানাতে হবে। যাতে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের পাশে থেকে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতে পারেন।’

‘কোথায় (বিজয় দিবসের ঘরোয়া অনুষ্ঠান) করছেন, কীভাবে করছেন, কতজনের আয়োজন! কারা কারা সেই অনুষ্ঠানে থাকবেন! অনুষ্ঠানগুলোতে যাতে নাশকতা না করতে পারে সেজন্য দেশব্যাপী গোয়েন্দা কার্যক্রম…গোয়েন্দারা তাদের মতামত দিয়েছেন। গোয়েন্দাদের মতামত মাথায় রেখে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করবে। সেই অনুযায়ী তারা কাজ করছেন।’

বিজয় দিবসে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সঠিক মাপ ও রঙের জাতীয় পতাকা সঠিকভাবে উত্তোলন করতে হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গমনাগমন ও পুষ্পস্তবক অর্পণকালীন যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রত্যেকবার যেভাবে নেয়া হয়, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঠিক সেভাবেই থাকবে।’

কূটনীতিকদের যারা স্মৃতিসৌধে যাবেন প্রতিবারের মতো তাদের জন্য যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘স্মৃতিসৌধ এলাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকবে। ঢাকা থেকে সাভার যাওয়ার সব রাস্তায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হবে। রাস্তাঘাটগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।