তালা প্রতিনিধি: শীতের হিমেল হাওয়ায় প্রকৃতি যেন কাঁথা মুড়ি দিতে শুরু করেছে। তাই শীতের আগমনী বার্তার সাথে বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতকালিন সবজি। সাতক্ষীরার তালা উপজেলার হাট বাজার গুলোতে বাহারী সব সবজির সরব নতুন সবজির প্রতি টান টানছে। মৌসুমের শুরু থেকেই বাজারে এসেছে মুলা, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, ওলকচু, পুঁইবিচি, পালংশাক, গাজরসহ শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি। গত এক সপ্তাহে প্রতিটি সবজির দাম ৫-২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে ফুলকপি বা বাঁধাকপি বিক্রি হয়েছে ৬০, এখন সেটা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সবজির দাম আরও কমবে বলে ধারণা করছেন বিক্রেতারা। মঙ্গলবার তালা উপজেলার আগোলঝাড়া,ডাংগানলতা,মোবারকপুর,হাজরাকাটি,ইসলামকাটী দাতপুর, মির্জাপুর, পাছরোখীসহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ২৫-৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০-৯০, টমেটো ৭০-৮০, গাজর ৯০, শিম ৪০, মুলা ১২-২০ টাকা, ঢেড়শ ২৫, ফুলকপি ৪০, বাঁধাকপি ২৫-৩০ টাকা, বিটকপি ৪০, ওলকপি ৩৫, পটল ৩৫, মিষ্টি কুমড়া ২৩, পুঁইশাকের মুটুরি ৬০,করলা উচ্ছে ৪০ এবং পেঁপে ২০-৩০ টাকা। বিগত এক মাস ধরে মাছ বাজার রয়েছে অপরিবর্তিত। পাইকারি বিক্রেতারা বলেন, ‘দাম কমতে আরও এক মাস সময় লাগবে। এখনো পুরোপুরি শীতের সবজি ওঠেনি। এখনকার বেশির ভাগ সবজির আবাদ আগে হয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগই অপরিপুষ্ট। চাহিদা থাকায় ও দাম বেশি পেতে সবজির সরবরাহ বেড়েছে। আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যে পুরোপুরি শীতের সবজি বাজারে আসবে।’ সারাবছরই বিভিন্ন ধরনের সবজির উৎপাদন হলেও শীত মৌসুমে সবজির উৎপাদন হয় বেশী গত কয়েকদিন যাবৎ শীতের সবজির আগমন ঘটলেও দাম কিন্তু উর্ধমুখি। সরেজমিন বাজার পরিদর্শনে বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানাযায় শীতকালীন সবজি বর্তমান সময়ে যথযাথ নয়, রোপন করা সবজি এখনও পর্যন্ত খেতে, আগামী এক দুই সপ্তাহের মধ্যে রোপন করা সবজির উঠলে তখন মুল্য সহনীয় পর্যায়ে আসবে। সবজির বাজার ও মুল্য উৎপাদন বিষয়ে কৃষক আমিনুর,শাহরিয়ার নাফিস অন্তু(অন্তু দাশ)বলেন, বর্তমান সময়ে বীজ, সেচ, কীটনাশক সারের মূল্য যেমন অধিক অনুরুপ ভাবে শ্রমিকমুল্য গত কয়েক বছরের কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। বিধায় সঙ্গত কারনে সবজির মুল্য কিছুটা চড়া হওয়াটা স্বাভাবিক। উৎপাদন খরচ ও মূল্য পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত। কৃষক শাহরিয়ার নাফিস অন্তু(অন্তু দাশ) আরও বলেন, কৃষকরা তাদের উৎপাদিত সবজি অপেক্ষাকৃত দাম মূল্যেই বিক্রি করে, শ্রমমুল্য, চাষ খরচ এবং উৎপাদন মুল্য ধরে বিক্রি করে। বিক্রিত সবজি একাধিক হাত বদলের মাধ্যমে ভোক্তা তথা ক্রেতাদের কাছে পৌছায় ততোক্ষনের মধ্যে স্বত্ত্বভোগীরা মুনাফা লুটে নিয়ে সবজি বাজারে অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধির পাগলা ঘোড়া ছুটিয়ে থাকে। যা তালা উপজেলার বাজার ব্যবস্থায় ভিন্নতা পরিলক্ষিত । বড় বাজার এক ধরনের মুল্য অন্যদিকে অপরাপর সবজি বাজারের মুল্য ভিন্নতর। গ্রাম পর্যায়ের বাজার গুলোকেও ভিন্ন ভিন্ন মূল্য পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। একই সবজি বাজার ভেদে ভিন্ন ভিন্ন মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবস্থার অনুসন্ধান করে যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে তা হলো প্রতিটিপন্যে অনেক শ্রেণীর সিন্ডিকেট সক্রীয় সেই সিন্ডিকেটই সবজি বাজার নিয়ন্ত্রন করে যাদের উপস্থিতি কেবল বাজার কেন্দ্রীক নয় উৎপাদন ব্যবস্থা হতে কৃষকদের ক্ষেত পর্যন্ত।