অনলাইন ডেস্ক : জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় পি কে হালদারের (প্রশান্ত কুমার হালদার) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ২৬ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন পি কে হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মৌখিকভাবে পরোয়ানার আদেশ হয়। সেই আদেশ প্রস্তুত হওয়ায় বুধবার (২ ডিসেম্বর) তা স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হয়েছে।
১৮ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে গত ১৯ নভেম্বর পি কে হালদারকে বিদেশ থেকে ফেরাতে এবং গ্রেফতার করতে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে-তা জানতে চেয়ে স্বপ্রণোদিত আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে আগামী ৮ ডিসেম্বর আদেশের দিন ধার্য রয়েছে।
কানাডায় অবস্থানকারী পি কে হালদার ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা, ফার্স্ট ফাইন্যান্স থেকে দুই হাজার ২০০ কোটি টাকা, পিপলস লিজিং থেকে তিন হাজার কোটি টাকা এবং রিলায়েন্স ফাইন্যান্স থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
গত বছর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অবৈধ ক্যাসিনো মালিকদের সম্পদের তদন্ত শুরু করলে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে আসে। চলতি বছর ৮ জানুয়ারি দুদক অজ্ঞাত সূত্র থেকে প্রায় ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে।
প্রসঙ্গত, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকেই ১৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে। এছাড়া সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫০০ কোটি টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একের পর এক সংবাদ প্রকাশিত হয়।