নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার দূর্ণীতিবাজ অ্যাড. আব্দুল লতিফকে দল ও জজ কোর্টের পিপিশিপ থেকে অপসারনের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রি বরাবর স্বারকলিপি পেশ করেছে। সাতক্ষীরা কালেক্টরেট চত্বরে সোমবার সকাল ১১টায় দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামবাসির ব্যানারে এ কর্মসুচি পালিত হয়। মানববন্ধন কর্মসুচি চলাকালে বক্তব্য দেন দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামের আকবর আলী, আব্দুল লতিফের বড় ভাই আব্দুল আহাদ, ভাইপো আব্দুল গণি, মজনু, জরিনা খাতুন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, অ্যাড আব্দুল লতিফের বাড়ি সদর উপজেলার দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামে। তিনি বিডিআর এ কর্মরত অবস্থায় দূর্ণীতির দায়ে বরখাস্ত হন। পরবর্তীতে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সনদ সংগ্রহ করে আইনজীবী হয়েছেন। তিনি ভারতীয় গরুর দালালী, মাদক ও সোনা পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ২০১৩ ও ১৪ সালে কামার বায়সা গ্রামের কমপক্ষে ৪০ জনকে নাশকতা মামলায় ধরিয়ে দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার নামে কমপক্ষে ৬০ লাখ টাকাআত্মসাৎ করেছেন। ভাইপোর ২০টি ট্রলি চালানোর জন্য লতিফকে ট্রলিপিছু প্রতিদিন ৩০ টাকা করে ঘুষ দিতে হয়। প্রাথমিক বিদ্য ালয়ের শিক্ষক, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরী নিয়োগ দেওয়ার নামে কমপক্ষে ১৫ জনের কাছ থেকে মাতা পিছু চার থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা নিয়েছেন। ঝাউডাঙা ডিগ্রী কলেজ জাতীয়করণের নামে ও শিক্ষক কর্মচারিদের এমপিও ভুক্তির নামে তিনি তার ছলে ওই কলেজের শিক্ষক রাসেলের মাধ্যমে স্থানীয় সংসদের বরাত দিয়ে আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা লুটে নিয়েছেন। এসব টাকা দিয়ে তিনি সম্প্রতি শহরের রসুলপুরে বহুতল বাড়ি বানিয়েছেন। ব্যাংকে জমিয়েছেন অঢেল টাকা। যুবলীগ নেতা লাভলুর স্ত্রীসহ বহু নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে তার। ভাইদের ন্যয্য জমি বুঝিয়ে না দেওয়ার প্রতিবাদ করায় তার নির্দেশে ছেলে রাসেলের নির্দেশে বড় ভাই, ভাািব ও তিন ভাইপোকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। মামলা দিলেও রাসেল, আমের আলী, তার ছেলে রিপন ও শরিফুলকে পুলিশ ধরছে না। সর্বপরি তিনি আসামী পক্ষ ও বাদি পক্ষ উভয়ের কাছ থেকে মামলার সুবিধা দেওয়ার নাম করে টাকা নিচ্ছেন। তার অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। আব্দুল লতিফ বিএনপি’র সময় বিএনিপি, জাতীয় পার্টির সময় জাতীয় পার্টি করেছেন। ২০০৯ সালে কৌশলে তিনি আওয়ামী লীগে ঢুকে বর্তমানে বিশেষ সুবিধায় জেলা কমিটির পদ নিয়ে ও দলীয় ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আদালত পাড়া ও গ্রামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। তাকে দল ও পিপি’র পদ থেকে বহিষ্কার করা না হলে সাধারণ মানুষ, বিচারপ্রার্থী ও তার না পছন্দের আইনজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পরে গ্রামবাসি দূর্ণীতিবাজ আব্দুল লতিফকে দল ও পিপি’র পদ থেকে অপসারনের দাবিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ বদিউজ্জামানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রি বরাবর এক স্মারকলিপি পেশ করে। এ ব্যাপারে জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ নিজেকে নির্দোষ দাবী করে একটি মহল তার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য একের পর এক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।#