শ্যামনগর

শ্যামনগরে ইউপি সদস্যকে মারপিট ও খুন জখমের হুমকির অভিযোগ

By daily satkhira

December 09, 2020

নিজস্ব প্রতিনিধি :  সাতক্ষীরার শ্যামনগরের আটুলিয়ায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাউল কম দেয়ার প্রতিবাদ করায় ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা কর্তৃক একজন ইউপি সদস্যকে মারপিট ও খুন জখমের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন শ্যামনগর উপজেলার সোয়ালিয়া (কুপট) গ্রামের মৃত আলহাজ্ব সফল উদ্দীনের ছেলে আটুলিয়া ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম মোড়ল। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি আটুলিয়া ইউপি’র ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে বার বার নির্বাচিত হয়ে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। সম্প্রতি এলাকার দ্বীন মজুর অলিদ বিশ্বাসের ছেলে অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক হয়ে এলকার নিরিহ মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও জমি দখলসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। অহিদুল নামের একটি বাহিনী গঠন করে মাছের ঘের দখল, ঘের মালিকদের কাছে চাঁদাবাজিসহ নানাভাবে হয়রানি করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার নেয় অহিদুল। শুরু থেকেই তার অওতাধীন ৪, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের হতদরিদ্র গরিব উপকারভোগিদেরকে তার বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাউল কম দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করে। উপকারভোগিরা চাউল ঠিক মত না পেয়ে আমাকে জানালে এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমি ফোনে অহিদুলের কাছে জানতে চাইলে সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মারপিটের হুমকি দেয়। পরে আমি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে গেলে অহিদুল আমারা মাথার টুপি খুলে নিয়ে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে আমাকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে লাঞ্চিত করে। এছাড়া প্রকাশ্যে আমাকে খুন জখমসহ মাছের ঘেরে পানি ঢুকিয়ে ক্ষতিকরা সহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, অহিদুল ইসলাম ইউনিয়ন পরিষদের স্লুইজ গেট দখল করে শতাধিক বিঘা ঘেরে টাকার বিনিময় পানি বিক্রি করে। বর্ষা মৌসুমে পানি তুলে ঘের ডুবিয়ে দিয়ে সে মাছ ধরে বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে অসছে। ইউপি চেয়ারম্যান সরকারি গেট ছেড়ে দিতে বললে সে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাকে খুন জখমের হুমকি দেয়। তার বিরুদ্ধে ৬টি মামলা রয়েছে। সে এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ কাউকে তোয়াক্কা করে না। ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম মোড়ল আরো বলেন, উল্লেখিত ঘটনায় আমি বাদি হয়ে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি বরাবর একটি অভিযোগ দিলে তিনি সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। এঘটনা জানতে পেরে অহিদুল আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে প্রকাশে ঘুরে বেড়িয়ে আমাকে খুন জখমসহ মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির পায়তারা চালাচ্ছে। আমি তাদের ভয়ে বাড়ি যেতে পারছি না। একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে তিনি ওই সন্ত্রাসী অহিদুল বাহিনীর হাত থেকে গরিব-অসহায় মানুষের অধিকার রক্ষা এবং নিজের জীবনের নিরপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেনমোঃ হোসেন আলী, মিজানুর রহমান, আজিজুল ইসলাম ও মফিজুল ইসলাম।