অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশের স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের উপর বসানো হয়েছে ৪১তম অর্থাৎ সর্বশেষ স্প্যানটি। এদিকে দৈর্ঘ্যের দিক থেকে বিশ্বের ১১তম সেতু পদ্মা সেতুর নাম কী হবে তা নিয়েও মানুষের মধ্যে উৎসাহ রয়েছে।
স্বপ্নের এই সেতু নির্মাণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে টানা তিন মেয়াদের এই সরকারের প্রথম মেয়াদেই পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ হাতে নেওয়া হয়। সরকারের এই উদ্যোগ শুরুতেই আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জর মুখে পড়ে। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন প্রত্যাহার করে নেয়।
এরপর বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হবে। নিজেদের টাকায় শুরু হয় পদ্ম সেতু বাস্তবায়নের কাজ। শেখ হাসিনার এই সাহসী ঘোষণা এবং বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রসংশিত হয়েছে।
সঙ্গত কারণেই শুরু থেকে পদ্মা সেতুর নামকরণ শেখ হাসিনার নামে করার দাবি ওঠে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন দিক থেকে এই দাবি তোলা হয়। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। জাতীয় সংসদেও বিষয়টি নিয়ে সংসদ সদস্যরা কথা বলেছেন এবং অনেকেই শেখ হাসিনার নামে নামকরণের দাবি জানিয়েছেন।
তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের নামে সেতুর নামকরণ চান না বলে সরকার ও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়। তিনি পদ্মা নদীর নামেই সেতুর নাম চান।
জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, পদ্মা নদীর নামেই পদ্মা সেতু হবে। পরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও বলেছেন, নদীর নাম অনুযায়ীই পদ্মা সেতুর নাম ‘পদ্মা সেতু’ থাকছে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সারা দেশের মানুষ চায় শেখ হাসিনার নামেই পদ্মা সেতুর নামকরণ করা হোক। কারণ, পদ্মা সেতু নিয়ে যত ষড়যন্ত্র হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাই মোকাবিলা করেছেন। এ কারণে দেশবাসী শেখ হাসিনার নামেই সেতুর নামকরণ চায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নিজে চান না। যেহেতু পদ্মা সেতু নিয়ে এত ষড়যন্ত্র হয়েছে তাই পদ্মার নামেই সেতুর নাম থাক সেটাই তিনি চান।