শ্যামনগর প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নকিপুর হরিচরন সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সার্টিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগ। শত বছরের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত সদ্য জাতীয়করণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগ । অভিযুক্ত হিন্দু ধর্মীয় শিক্ষক গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস ২০০২ সালে এবং লাইবেরিয়ার মোঃ হাফিজুর রহমান ২০১১ সালে যোগদান করেন। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীতে পড়াশুনা করার সময় জন্ম তারিখ ছিলো ৮ আগষ্ট ১৯৭৪। কিন্তু তার মাধ্যমিক ইস্কুল সাটিফিকেটে পরীক্ষায় দেখাগেছে বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ১৯৯১ সালের দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয় জন্মতারিখ ২০ আগষ্ট ১৯৭৫। মোঃ হাফিজুর রহমান দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে ১০ জানুয়ারি ২০১০ এবং রয়েল তারিখ লাইব্রেরিয়ান সাইন্সে ডিপ্লোমা এবং রয়েল ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে ৪ মার্চ ২০১০ বিএড কোর্সের সার্টিফিকেট প্রদান করে যা ইতিমধ্যে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেশিক্ষকরা সমালোচনা করে বলেন মোঃ হাফিজুর রহমান ইতিপূর্বে স্কুলের ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় শিক্ষার্থীরা রাজপথে আন্দোলন করেছিল। এ ঘটনায় শ্যামনগর থানায় একটি মামলা হয়। হিন্দু ধর্মীয় শিক্ষক গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন আমার জন্ম নিবন্ধন, ভোটার আইডি কার্ড, এসএসসি সার্টিফিকেটের বিশে আগস্ট ১৯৭৫। অষ্টম শ্রেণীতে কোথায় কি আছে ওইটা আমার জানা নেই। মোঃ হাফিজুর রহমান লাইবেরিয়ার বলেন আমার সার্টিফিকেট সব ঠিক আছে কোন সমস্যা নেই। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ডা. মুহাম্মাদ আব্দুল মান্নান বলেন তারা আমার যোগদানের পূর্বে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন। আমি খবর নিয়ে দেখবো।