নিজস্ব প্রতিনিধি: বিয়ের আশ্বাসে সর্বশ্ব সপে দিয়েও শেষ রক্ষা হলো অসহায় নারী হোটেল শ্রমিক ৩০ এর। বিয়ে তো দূরে কথা উল্টো আতœীয় স্বজন দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে ওই নারীকে। শনিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকায় এঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারী সাতক্ষীরা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের পারকুখালী গ্রামের বৃদ্ধার কন্যা (৩০) জানান, আনুমানিক ৭ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে বিবাহ হলেও একটি পুত্র সন্তানের জন্মের পর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর ঠাঁই মেলে বৃদ্ধা পিতার বাড়িতে। পিতা বয়সের ভারে কোন কাজ করতে পারে। ফলেই নিজের অন্যের বাড়িতে হোটেলে কাজ করতো সে। গত ৫ বছর পূর্বে সুলতানপুরস্থ সিরাজ হোটেলে শ্রমিক কাজ নেন তিনি। একপর্যায়ে হোটেল মালিক তাকে বিবাহের আশ্বাসে নারী কর্মচারীর সাথে সম্পর্ক তৈরি করে বিভিন্ন সময়ে মেলামেশা করে। এমনকি হোটেল মেরামতের জন্য বাড়ির গুরু বিক্রির টাকাও তুলে দিয়েছিল তার হাতে। মেলামেশার ফলে তার গর্ভে সন্তান আসে। বিষয়টি সিরাজুল কে অবগত করালে সিরাজুল অপারেশনের মাধ্যমে কেটে কেটে সে সন্তান নষ্ট করেন। পরবর্তীতে সিরাজুল আবারো তাকে বিবাহের আশ্বাস দিয়ে যোগাযোগ করতে থাকে। কিন্তু বিবাহ না করে প্রতারণার একপর্যায়ে শনিবার সন্ধ্যায় তার হোটেলের সামনে গেলে সুলতানপুর ফয়সাল মসজিদ এলাকার মৃত. গফুরের পুত্র হোটেল মালিক সিরাজুলের স্ত্রী ফতেমা, একই এলাকার লিয়াকত আলীর পুত্র সিরাজের ভাগ্নে লিমন ওই নারীকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করে। এছাড়া এবিষয়ে কাউকে কিছু বললে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করেন। এঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী প্রতারক সিরাজ এবং মারপিটকারী লিমনগংদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এঘটনায় অভিযুক্ত হোটেল মালিক সিরাজুল ইসলামের ব্যবহত মোবাইল নাম্বারে শনিবার রাত ৯.৪৫ মিনিটে কয়েকবার ফোন দিলেও তা বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।