অনলাইন ডেস্ক : পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোখলেসুর রহমান ও তার স্ত্রী শরিফা বেগম মনির স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছে দুদকে।
এদিকে, এই দম্পতির স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ খতিয়ে দেখতে সংস্থাটির উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিককে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রোববার (২০ ডিসেম্বর) তাকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
১২তম বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তা মো. মোখলেসুর রহমান বর্তমানে সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে কর্মরত। তিনি ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন। তার বিপি নম্বর ৬৪৯১০০৮৩১১।
দুদকের কর্মকর্তারা জানান, নেত্রকোনার সদরের বাসিন্দা মোখলেসুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষবাণিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়ে দুদকে। কমিশন উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজকে অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পরে তিনি কমিশনে প্রতিবেদন পেশ করেন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এ দম্পতির নামে যে পরিমাণ সম্পদ পাওয়া গেছে তা তাদের বৈধ আয়ের সঙ্গে সংগতি নেই। পরে মোখলেস ও তার স্ত্রীর সম্পদের হিসাব তলব করা হয়। তারা সম্পদ বিবরণী জমা দেন। সেটা যাচাই-বাছাইসহ এ দম্পতির স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অনুসন্ধানের জন্য কমিশনের উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি একইভাবে তার স্ত্রী শরিফা বেগম মনিরও অবৈধ সম্পদ খতিয়ে দেখছেন।