ফিচার

সাতক্ষীরায় বাড়িতে থেকে নিজেদের সংশোধনে ব্যস্ত আদালতে দণ্ডিত ৪ আসামি

By Daily Satkhira

December 23, 2020

এম বেলাল হোসাইন : নিজেদের সংশোধনে ব্যস্ত সময় পার করছেন মামলায় সাজা প্রাপ্ত আশাশুনি উপজেলার মহিষাডাঙ্গার ৪ আসামী। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মাদক বিরোধী প্রচার, গাছ লাগানো, ভালো কাজ করা এবং নিজেরা মাদক সেবন বা ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে যুক্ত না হয়ে উল্টো তার ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে প্রচার করে যাচ্ছেন তারা।

মারমারি মামলায় আশাশুনি উপজেলার মহিষাডাঙ্গা গ্রামের লহ্মীকান্ত গাইনের পুত্র গৌতম গাইনকে প্যানেল কোড ১৮৬০ এর ৩২৩ ও ৩৫৪ ধারায় দোষী সাবাস্ত করে দুটি ধারায় ৬ মাস কারাদণ্ড প্রদান করা হয় এবং লহ্মীকান্ত গাইনের স্ত্রী মমতা গাইন, টিকেন্দ্র মন্ডলের স্ত্রী লতিকা মন্ডল ও বিমল গাইনের স্ত্রী উর্মিলা গাইনকে ১৮৬০ এর ৩২৩ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে ১ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। তবে উক্ত আসামীদের দণ্ডিত শাস্তির পরিবর্তে ১ বছরের জন্য কিছু শর্ত সাপেক্ষে প্রবেশন মঞ্জুর করেন।

শর্তগুলো হচ্ছে, প্রবেশন কালীন আসামীরা কোন অপরাধের সাথে জড়িত হবে না। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন। কোর্ট এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা তলব করলে যথা সময়ে উপস্থিত হবেন। কোন নেশাজাতীয় দ্রব সেবন করবেন না। খারাপ সঙ্গীর সাথে মিশবেন না। অভিযোগকারীর বাড়িতে ১০ ফলজ ও ১০টি বনজ গাছ রোপন করতে হবে। আসামী গৌতম নিজ এলাকায় মাদক বিরোধী প্রচারণা চালাবেন। এছাড়া মমতা ও লতিকা বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে ১৫ দিন পর পর বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারণা চালাবেন। শর্ত দেখভালের জন্য সাতক্ষীরা প্রবেশন কর্মকর্তার উপর দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিন মাস পর পর আসামীদের শর্ত পালন বিষয়ে অগ্রগতির প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করবেন প্রবেশন কর্মকর্তা।

সাতক্ষীরা সমাজসেবা অফিসের প্রবেশন অফিসার সুমনা শারমীন ডেইলি সাতক্ষীরাকে জানান, “দণ্ডিত আসামিরা বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা মেনে বিভিন্ন সেবামূলক কাজের পাশাপাশি মাদকবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে তাদের প্রতিবেশীরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন এবং আদালতের এধরনের আদেশের প্রশংসা করছেন।”

তিনি আরও জানান, “আমরা নিয়মিত তাদের কার্যক্রম মনিটরিং করছি এবং আদালতের দেওয়া আদেশ পালনে তাদেরকে সবরকম সহযোগিতা প্রদান করছি যাতে করে তারা সংশোধন হতে পারেন।”