সোহরাব হোসেন: আশাশুনির ১১ নং কাদাকাটি ইউনিয়নের কেজুরডাঙ্গা খালের উপর সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগের শিকার কোমলমতি স্কুলগামী ছাত্রছাত্রী ও শত শত গ্রামবাসী। জরাজীর্ণ বাশের তৈরি সেতুটি ভেঙে গিয়ে যেকোন সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশংকা করছেন পথচারীসহ বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা। সরেজমিনে দেখা যায়, আশাশুনির কাদাকাটি ইউনিয়নের খেজুরডাঙ্গা নদীর কয়েক বছরের পুরানো বাশের সেতুর খুটির অধিকাংশ পঁচে গিযে হেলে পড়েছে। প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে শত-শত গ্রামবাসী, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্ষা মৌসুমে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিগত চার বছর আগে স্থানীয় মেম্বার মিজানুর রহমান মন্টুর একান্ত প্রচেষ্টায় একটি বাশের সেতু নির্মাণ করে দিলেও বর্তমানে তা পারা-পারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্তমান মেম্বার অনুকুল বাছাড় জানান, এলাকার সাধারন মানুষ বিভিন্ন কাজে সেতুর উপর দিয়েই স্থানীয়দের প্রতিনিয়ত যাতায়ত করতে হয়। এ ছাড়াও স্কুলের ৫০/৬০ ছাত্র-ছাত্রীকে পড়া-লেখা করতে ঐ বাশের সেতু দিয়ে প্রতিদিন যেতে হয়, দেখা গেছে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের সেতু পার করে দিতে সংসারের শত কাজ ফেলে ভাঙা সেতু পর্যন্ত এগিয়ে আসে, কারণ তারা তাদের সন্তানকে নিয়ে কোন ঝুঁকি নিতে চান না। এলাকাবাসীরা বলেন, বর্তমান সরকারের সময় সারাদেশে ব্যপক উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও এলাকার ৬০/৭০ টি পরিবারের শত মানুষ রয়ে গেছে চরম অবহেলিত এখানের শত জন সাধারনের মধ্যে অধিকাংশ রয়েছে দরিদ্রসীমার নিচে, অনেকে ক্ষেত খামারী করে জীবন নিবাহ করে থাকে এবং তাদের প্রতিদিন ঐ সেতুপার হয়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে ক্রায়/ বিক্রির করার জন্য কাঁধে করে নিয়ে যেতে হয়। তাছাড়া রোগ বালাই যে কোন সমস্যায় ডাক্তার ও হাসপাতালে রোগীকে নিতে হয় কাঁধে ভার করে। পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় অধিকাংশ রোগী হাসপাতালে পৌছার আগেই জীবনের প্রদীপ নিভে যায় মাঝ পথেই। সেতুটি যদি হয় তাহলে যে কোন গাড়ি পারাপার করতে পারবে, ফলে হাজারো দূর্দশা থেকে মুক্তি পাবে, বদলে দিতে পারে শতশত গ্রামবাসীর ভাগ্য। ইতিমধ্যে ঝুকিপুর্ন সেতুর ব্যপারে এলাকার জনসাধারন কাদাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দিপাংকার সরকারে নিকট একটি আবেদন এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে করা হলেও হতাশা কাটেনি বলে জানা গেছে। এলাকাবাসীর দাবি একটু সুদৃষ্টি পারে অবহেলিত জনপদের জীবনযাত্রার উন্নয়নের সুযোগ দিতে।