বিনোদন ডেস্ক: বলিউডে প্রতিদিনই বদলাচ্ছে কিছু না কিছু। কিন্তু তিনটি ব্যাপার সব সময়ের জন্যই চিরন্তন সত্য সেখানে—তারকাদের ক্ষমতা, ভক্ত-সংস্কৃতি আর মাদকাসক্তি। টিনসেল টাউনের তারারা মাদকের নেশায় কেমন বুঁদ, তার চিত্রায়ণ কিছুদিন আগের আলোচিত ‘উড়তা পাঞ্জাব’ ছবিতে দেখানো হয়েছে দারুণভাবে। কয়েক বছর আগেও বলিউডের মাদকাসক্তির ঘটনাগুলো ছিল ধরাছোঁয়ার কিংবা জানার বাইরে। কিন্তু ধীরে ধীরে গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে বেরিয়েছে খ্যাতিমান তারকাদের কালো অধ্যায়। তার পরও কিন্তু থেমে যায়নি বলিউড মাদক-সংস্কৃতি। একসময় মাদকাসক্ত ছিলেন এ রকম ১০ বলিউড তারকার কথা থাকছে এই আয়োজনে।
সঞ্জয় দত্ত : সঞ্জয় দত্তের মাদকাসক্তির কথা কে না জানে! ১৯৮২ সালে মাদক বহনের কারণে গ্রেপ্তার পর্যন্ত হয়েছিলেন এই ‘মুন্না ভাই’ তারকা। অবশেষে নিজের পিতার উপদেশে আমেরিকার একটি মাদক পুনর্বাসন কেন্দ্রে গিয়ে মুক্তি পান মাদকের কবল থেকে। সঞ্জয়ের মাদক-অধ্যায় সেখানেই শেষ।
রণবীর কাপুর : ইন্ডিয়া টুডে’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রণবীর কাপুর স্বীকার করেন তাঁর একসময়কার মাদকাসক্তির কথা। জানান ফিল্ম স্কুলে অধ্যয়নের সময় তার গাঁজা সেবনের কথা। বলিউডে আসার পর ‘রকস্টার’ সিনেমায় অভিনয় করার সময় আবারও ফিরে গিয়েছিলেন পুরোনো অভ্যাসে, কিন্তু সেটি শুধুই অভিনয়ে মনোযোগ বাড়ানোর জন্য করা—এমনই দাবি করেন এই অভিনেতা।
বিজয় রাজ : ২০০৫ সালে ২৫ গ্রাম গাঁজাসহকারে দুবাই এয়ারপোর্টে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এই ‘কাউয়া বিরিয়ানি’ অভিনেতা। ওই সময়টায় দুবাইয়ে ‘দিওয়ানে হুয়ে পাগল’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়েছিলেন বিজয়।
ফারদিন খান : একসময়কার এই ‘বি-টাউন প্রিন্স’ ২০০১ সালে কোকেনসহ গ্রেপ্তার হন মুম্বাইয়ের জুহু এলাকা থেকে। তাঁর সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারের পতনের পেছনে বেশ কিছু কারণের একটি ছিল মাদক।
আফতাব শিবদাসানি : পুনের এক নাইট ক্লাব কর্তৃপক্ষের দাবি, ক্লাবের ভেতর মাদক সেবন করা অবস্থায় একবার আফতাবকে হাতেনাতে ধরেছেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের এই দাবি বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন তিনি। ক্লাব ম্যানেজমেন্টের তথ্যমতে, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ক্লাব বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন আফতাব।
মমতা কুলকার্নি : নব্বইয়ের দশকের এই ‘গ্ল্যামার গার্ল’-এর অতীতে ছেয়ে রয়েছে মাদকের করাল থাবা। মাদক চোরাকারবারি স্বামী ভিকি গোস্বামীর সঙ্গে কেনিয়ার এক মাদক উৎপাদক এলাকায় একবার আটক হন মমতা।
অপূর্ব এবং শিল্পা অগ্নিহোত্রী : অন্যান্য আরো অনেক তারকার সঙ্গে প্রচুর জাঁকজমকপূর্ণ এক পার্টি থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন জনপ্রিয় এই টিভি জুটি। অপরাধ, মাদক সেবন।
অঙ্গদ বেদি : সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার বিষাণ সিং বেদির ছেলে অঙ্গদ বেদিও আছেন এ তালিকায়। নেশা করা অবস্থায় এক পার্টিতে অন্য অনেক তারকার সঙ্গে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এই তারকা।
ডি জে আকিল : অবৈধ মাদক পরিবহনের দায়ে দুবাই এয়ারপোর্টে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন ভারতের বিখ্যাত এই ডিজে। ০.৪ গ্রাম ‘এক্সটেসি’ পাওয়া গিয়েছিল তাঁর কাছে। শেষ পর্যন্ত এই জগৎ থেকে বের হয়ে আসতে নিরাময় কেন্দ্রে পর্যন্ত যেতে হয়েছে আকিলের।
পারভিন ববি : পারভিন ববির ট্র্যাজিক জীবনে অনেক কিছুর মতো অনুষঙ্গ ছিল মাদকও। বলিউডে যে পরিমাণে খ্যাতি আর সাফল্য কুড়িয়েছেন, ব্যক্তিগত জীবনে ততটাই ডুবেছেন ব্যর্থতা আর হতাশায়। এলএসডিতে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যাই ছিল তাঁর পরিণতি।