ফিচার

ধুলিহরে কোটি টাকার রাস্তার নির্মাণের শুরুতেই চরম অনিয়মের অভিযোগ

By daily satkhira

December 25, 2020

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদরের ধুলিহর ইউনিয়নের সুপারিঘাটা-নেহালপুর-তেতুলডাঙ্গা দক্ষিণমাথা পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ কাজে অবৈধভাবে ভুগর্ভ থেকে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। উক্ত রাস্তায় প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার ফুট বালির প্রয়োজন। এত বালি এখান থেকে উত্তোলন করলে রাস্তাসহ আশে পাশের বাড়ি ঘর ধ্বসে বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে এলাকাবাসী দাবি করেছেন। অবিলম্বে তারা অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। জানা গেছে, ধুলিহর ইউনিয়নের তেতুলডাঙ্গা দক্ষিণমাথা হতে নেহালপুর সাইফুলের নার্সিং পয়েন্ট পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার রাস্তায় ইটের সোলিং কাজের জন্য ১ কোটি ১৩লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সোলিংয়ের পূর্বে রাস্তায় ৮ ইঞ্চি পুরু ফিলিং বালি ভরাটের জন্য প্রতি ফুট ১১ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বিপ্লব কুমার রাস্তার একেবারে পাশ হতেই ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে ভূগর্ভ হতে বালু উত্তোলন করে ভরাট করছেন। এতে করে ভবিষ্যতে রাস্তাসহ আশে পাশের বাড়িঘর মারাত্মক হুমকির মুখে পতিত হবে বলে ধারনা করছেন এলাকাবাসী। এছাড়া ওই বালি ভরাটের জন্য জনৈক আব্দুল্লাহ‘র কাছ থেকে মাত্র সাড়ে ৪ টাকা ফুট হিসেবে বালু নিচ্ছেন মেম্বর বিপ্লব। এদিকে, রাস্তায় বালি-পানি একত্রে ভরাটের পর ওই রাস্তাদিয়ে চলাচল অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। বালি-পানি ভরাটের কারনে অত্র অঞ্চলের প্রায় ৫টি গ্রামের মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এবিষয়ে কাজটির ঠিকাদার ইলিয়াস আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমরা রাস্তার ধার থেকে সরিয়ে অনেক দূরে মেশিন নিয়ে গেছি। আগামীকাল হতে অনেক দূর থেকে বালি উত্তোলন করা হবে। এছাড়া ১১ টাকা ফুট হলেও আমাদের ভ্যাটসহ অন্যান্য খরচ রয়েছে। তবে সেখান থেকে বালি উত্তোলনের প্রায় ৮ টাকা খরচ হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। ধুলিহর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বর বিপ্লব কুমার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের ম্যানেজের উদ্দেশ্যে চা-মিষ্টি খাওয়ানোর খরচ বহনের প্রস্তাব দেন। তবে ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বর তপন কুমার বলেন, আমার ওয়ার্ডের ৫টি গ্র্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটি। কিন্তু সম্প্রতি এভাবে পানি-বালু ভরাটের কারণে মানুষের অনেক ভোগান্তি শিকার হতে হচ্ছে। এছাড়া রাস্তার পাশ থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলনে তিনি নিষেধও করেছেন বলে দাবি করেন। সদর উপজেলা প্রকৌশলী জাহানারা বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। আপনার কাছ থেকে শুনেছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো।