জাতীয়

পিকে হালদারের ‘বান্ধবী’ দুদকের ডাকে সাড়া দেননি

By Daily Satkhira

December 28, 2020

অনলাইন ডেস্ক : এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি পলাতক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) ‘বান্ধবী’ অবন্তিকা বড়াল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ডাকে সাড়া দেননি। নোটিশ পাওয়ার পরও তিনি হাজির হননি। সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাকে হাজির হতে বলা হয়েছিল। মামলার আলোচিত আসামি পিকে হালদারের সঙ্গে যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে অবন্তিকার বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক উপ-পরিচালক তদন্ত কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন স্বাক্ষরিত নোটিশ অবন্তিকা বড়ালের রাজধানীর ধানমন্ডির ফ্ল্যাটে পাঠানো হয়। সোমবার সকাল ১০টায় তাকে হাজির হতে বলা হয়েছিল। দুদকের এ চিঠি পাওয়ার পরও তিনি যথাসময়ে হাজির হননি। ব্যক্তিগত কোনো সমস্যার কারণে হাজির হতে পারেননি বা কবে হাজির হতে পারবেন- এ বিষয়েও লিখিত বা ফোনে দুদককে অবহিত করেননি তিনি। অবন্তিকার কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্দিষ্ট দিনের নির্দিষ্ট সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে ব্যর্থ হলে অভিযোগ সম্পর্কে তার কোনো বক্তব্য নেই বলে গণ্য করা হবে। পরবর্তীকালে দুদক তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। জানা গেছে, ২৭১ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দেড় হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বাদী হয়ে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছেন উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। এই মামলাই দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত প্রশান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কপি এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলে পাঠানো হয়েছে। সূত্র জানায়, প্রভাব খাটিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড ও পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে। তিনি দীর্ঘসময় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের এমডি এবং ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। পিপলস লিজিং ও অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোনো পদে না থাকলেও এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনায়ও তার প্রত্যক্ষ হাত ছিল।