জাতীয়

পি কে হালদারের সম্পদ ক্রোক হিসাব জব্দ, ক্রোক হচ্ছে বান্ধবীর সম্পদও

By Daily Satkhira

December 29, 2020

অনলাইন ডেস্ক : এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি পলাতক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) ব্যাংক হিসাব জব্দ ও সম্পদ ক্রোক করা হয়েছে। দুদক উপপরিচালক তদন্ত কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ ও ক্রোক করেছেন। এরই মধ্যে তার ৫৮টি ব্যাংক হিসাব, ১৭টি কোম্পানির শেয়ার জব্দ ও ৪৩ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ ক্রোক করা হয়েছে।

বান্ধবীদের সম্পদ ক্রোকের আবেদন: পি কে হালদারের বান্ধবী অবন্তিকা বড়ালের ফ্ল্যাটসহ দু’টি ফ্ল্যাট ক্রোকের আবেদন জানানো হয়েছে আদালতে। মঙ্গলবার দুদক উপপরিচালক তদন্ত কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন স্বাক্ষরিত আবেদনটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজের কাছে পেশ করা হয়। রাজধানীর ধানমন্ডির ১০/এ সাত মসজিদ রোডে ৩৯ নম্বর বাড়ির ১২/ই ফ্ল্যাটটি এই অবন্তিকার নামে।

ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ৬ নং রোডের পুরাতন ২১ নং ও নতুন ১৭ নং প্লটে নির্মিত ১৪ তলা বাড়ির সপ্তম তলায় ২ হাজার ৬০৩ বর্গফুটের এ-৭ নং ফ্ল্যাটটিও ক্রোকের আবেদন করা হয়েছে।

জানা গেছে, পি কে হালদারের বান্ধবী অবন্তিকা বড়াল রাজধানীর ধানমন্ডির ১০/এ সাত মসজিদ রোডে ৩৯ নম্বর বাড়ির ১২/ই ফ্ল্যাটে থাকতেন। সোমবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক থেকে ডাকা হলে তিনি যথাসময়ে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হননি। তিনি বর্তমানে পলাতক আছেন।

এরই মধ্যে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম হাইকোর্টে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, পি কে হালদারের ৭০-৮০ জন বান্ধবী আছেন যারা তার অনিয়ম, দুর্নীতির সঙ্গে নানাভাবে জড়িত। এরপরই দুদক প্রশান্তের বান্ধবীর খোঁজে মাঠে নামে। এরই মধ্যে একাধিক বান্ধবীর খোঁজ মিলেছে। অন্যদেরকে খোঁজা হচ্ছে।

দুদক জানায়, ২৭১ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দেড় হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বাদী হয়ে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি মামলা করেন। এই মামলাটি তদন্ত করছেন উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। এই তদন্ত পর্যায়ে প্রশান্তের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তার বান্ধবীদের সম্পদেরও বের করা হচ্ছে।

জানা গেছে, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এরপরও তিনি দুদকের চোখে ধূলো দিয়ে বিদেশে পালিয়েছেন। তার বিদেশ যাত্রায় দেশের একাধিক ব্যক্তি সহায়তা করেছেন বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।