মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা সদরের ভোমরা ইউনিয়নের হাড়দ্দহা গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে মারপিট ও বসত ঘরে আগুন দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। রোববার রাত অনুমান ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে আহত অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন গাজীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ প্রতিনিধিকে জানান, আমার পরশী কন্যার সাথে আমার ছেলের প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে ঐ মেয়ে তার বাড়ি থেকে আমার বাড়িতে এসে ওঠে। তখন আমি মেয়ের বিয়ের বয়স না হওয়ায় তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিই। পরবর্তীতে ঐ মেয়ে আবারও আমার বাড়িতে চলে আসে জামা-কাপড়সহ। সে বলে আর ঐ বাড়িতে ফিরে যাবেনা। এঘটনায় মেয়ের পিতা মইমুর হোসেন আমার নামে ও আমার ছেলের নামে মামলা করে। আমার বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে এস.আই হারুন। মেয়ের বয়স না হওয়ায় মেয়েকে তার পিতার জিম্মায় দিয়ে আমার ছেলেকে চালান দেয়। আদালত মেয়ের জবানবন্দি গ্রহণ করে। জবানবন্দিতে মেয়ে তার পিতার জিম্মায় যেতে নারাজ হয়। সেও ঐ ছেলের সাথে জেলে থাকতে চাই। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে রোববার রাত ১২টার দিকে আমাদের অজান্তে আমার পরশী মঈনুল ইসলাম আমার বসত ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। আমরা যখন আগুন নেভাতে ব্যস্ত ঠিক তখন মঈনুলসহ তার সহযোগিরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে আমাদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে। এসময় আমার মাথায় আঘাত করলে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে আহত অবস্থায় আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে আমাকে ও আমার পরিবারকে হত্যার হুমকিসহ হয়রানীমূলক মামলা দেওয়া ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এ ঘটনায় আহত মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনকে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কর্মকর্তারা সদর হাসপাতালে এ মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিয়েছেন। এ ব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মারুফ আহমেদ জানান, সোমবার বিকালে সাতক্ষীরা সদর থানায় হাড়দ্দহা গ্রামের নজরুল ইসলাম রুমির ছেলে মইমুর হোসেনসহ ৭/৮জনকে আসামি করে আরো ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। আমরা এর যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা, এলাকাবাসী ও সচেতন মহল জেলা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।