বিশেষ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যেসব দেশে ১০ হাজারেরও বেশি অভিবাসী রয়েছেন সেসব দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে পর্যায়ক্রমে শ্রম উইং খোলা হবে। যেন যেকোনও সমস্যা হলে তারা সেখানে যেতে পারেন ও সমস্যার সমাধান করতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন দেশে নিজস্ব চ্যান্সেরি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, যাতে কর্মীরা সেখানে বসতে পারেন এবং সহজেই সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।’
বুধবার (৬ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় রাজধানীর আগাঁরগাওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশ গমনেচ্ছুরা যাতে নিজ এলাকায় বসে প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ কারিগর হয়ে বাইরে যেতে পারেন এবং সেখানে গিয়ে যেন কোনও অপ্রীতিকর অবস্থায় না পড়েন, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে অনেকেই যথাযথ প্রশিক্ষণ গ্রহণ না করে শুধু সার্টিফিকেট নিয়ে বিদেশে যাওয়ার কারণে সমস্যায় পড়েন।’
তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আগের ৭০টিসহ আরও নতুন ৪০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আরও ১০০টি নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।’
দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখা ও ফরেন রিজার্ভ বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে প্রবাসী কর্মীরা গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে মন্তব্য করে তিনি অভিবাসনের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলকে অধিকতর দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। অনুষ্ঠানে প্রবাসী কর্মীদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান ও সিআইপি (এনআরবি) সনদ প্রদান করা হয়।