নিজস্ব প্রতিবেদক : জৈষ্ঠ্য মাস বাঙালির জীবনে মধু মাস। আর এ মাসের প্রথম সপ্তাহেই সাতক্ষীরার হিমসাগর গেল ইউরোপে। আর এর মধ্যদিয়েই আম রপ্তানিতে কৃষি বিভাগের প্রচেষ্টা তৃতীয়বারের মতো সাফল্যের মুখ দেখলো। সোমবার (১৫ মে) রাতে রপ্তানির প্রথম চালানেই জেলার দেবহাটা উপজেলার ছয়জন চাষী ও সদর উপজেলার তিনজন চাষীর বাগানের হিমসাগর আম পাঠানো হলো ইউরোপের দেশ ফ্রান্স ও ইতালিতে। আম পেড়ে বাগানেই প্যাকেটজাতকরণের পর সন্ধ্যায় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানসমূহ তা নিয়ে রওনা হয় বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে। এর আগে গুণগত মানসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া তদারকি করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর আহমেদ সজল, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমজাদ হোসেনসহ অন্যান্যরা। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন জানান, প্রথম চালানে দেবহাটা উপজেলা থেকে ৩৫৯৪ কেজি ও সদর উপজেলা থেকে ৩৬৮৯.৬ কেজি হিমসাগর আম রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান তাসিন এন্টার প্রাইজ ও হক এন্টার প্রাইজের মাধ্যমে ইতালি ও ফ্রান্সে পাঠানো হয়েছে। সাতক্ষীরা শহরের কামালনগরের আম চাষী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত মৌসুমের পর থেকেই কৃষি বিভাগের পরামর্শে বিষমুক্ত রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদনের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন তিনি। আজ তার সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। প্রথমদিনেই তার বাগান থেকে প্রায় দুই মেট্টিক টন আম রপ্তানি করা সম্ভব হয়েছে। অন্যান্য চাষীদের তুলনায় বেশি দাম পেয়ে উচ্ছ্বসিত জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, বর্তমানে বাজারে হিমসাগর আম দুই হাজার থেকে বাইশ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু আমার আম বাগান থেকেই আড়াই হাজার টাকা মণ বিক্রি হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে জানান, চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরা থেকে তৃতীয়বারের মতো আম রপ্তানি শুরু হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই সাতক্ষীরা সদর, দেবহাটা, তালা ও কলারোয়া উপজেলা থেকে আরও আম রপ্তানি হবে। সাতক্ষীরা থেকে এ বছর আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১৫০ মেট্টিক টন। এর মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে।