স্বাস্থ্য ও জীবন : হৃদ রোগ একটা কমন ব্যাপার। প্রায় প্রতি পরিবারেই এই রোগ কম বেশী আছে। এর সব থেকে বড় কারন হল অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন,উচ্চ চর্বি আহার,সবজি কম খাওয়া,শারীরিক পরিশ্রম না করা ইত্যাদি। তবে এগুলই সব কারন নয়।এর বাইরেও অনেক কারন আছে। তবে যাই হোক না কেন যদি একবার এটি খুব বেড়ে যায় তখন দ্রুত চিকিৎসা না করালে রোগীকে বাচান যায় না। কিন্তু এটাই শেষ নয়, মাঝে মাঝে এই রোগ যদি খুব বেড়ে যায় তখন এর চিকিৎসা নিয়ে পড়া লাগে আরেক ঝামেলায়। অবস্থা খারাপ হলে কোনটি বেঁছে নিতে হবে বাইপাস নাকি এনজিওপ্লাসটি সে ব্যাপারে রোগী এমনকি অনেক সময় ডাক্তার ও ধাঁধাঁয় পরে যান।
এমন কোন অপারেশন কি করা উচিত যেটা যথেষ্ট আগ্রাসী কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী সুফলদায়ক?নাকি এমন কিছু করা উচিৎ যেটা খুব দ্রুত নিরাময় দিবে কিন্তু ১ বৎসরের বেশী স্থায়ী হবে না?এখন যেটা হবে তা হল,আপনার করনারি ধমনীতে যদি ৩ বা তার বেশী ব্লকেজ থাকে তবে ডাক্তার আপনাকে বাইপাস সার্জারি করার জন্য বলবেন। কিন্তু আপনার ব্লকেজ যদি বাম পাশের করনারি ধমনীতে না হয় তবে আপনি আপনার ইচ্ছা মত চিকিৎসা নিতে পারবেন।এখানে একটি কথা বললে সুবিধা হবে যে, যাদের মাঝারি ধরনের সমস্যা আছে তাদের হাতে ভেবে দেখবার মত সময়ও অবশ্য হাতে থাকে। কেননা এরকম রোগীদের ক্ষেত্রে ৯৯ ভাগই ১ মাসের বেশী বাচে।৯৬ ভাগ অন্তত ১ বৎসর বাচে,আর ৯০ ভাগ লোক ৫ বৎসরের বেশিকাল বেচে থাকে।তাই আপনার সিদ্ধান্তটা আপনার রোগের অবস্থার উপর নির্ভর করে নিতে হবে।বাইপাস সার্জারি চিরজীবনের জন্য বলা হলেও এটি চিরস্থায়ী হয় না।কারন ১০ বৎসরের মধ্যে পা থেকে আনা শিরা ৪০-৫০ ভাগ বুজে যায়।যাই হোক এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ভাল একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এবং যে কিনা বাইপাস ,এনজিওপ্লাসটি কোনটিও করায় না।কারন আপনি গাড়ি কেনার জন্য গাড়ির দোকানদার এর পরামর্শ নেবেন না। এ ক্ষেত্রে ভাল একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া দরকার।