কলারোয়া

জমে উঠেছে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পৌরসভা নির্বাচন

By Daily Satkhira

January 13, 2021

আব্দুল জলিল : সাতক্ষীরার কলারোয়ার পৌরসভা নির্বাচন আগামী ৩০ জানুয়ারি। এই নির্বাচনকে ঘিরে কলারোয়ায় উৎসব আমেজ বিরাজ করছে। নির্বাচনে জয় লাভ করতে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা তুঙ্গে। প্রাথী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে হামলা মামলার আসামী বরখাস্ত মেয়র আক্তারুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নাসরিন সুলতানা। এই নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামীলীগের প্রার্থী মনিরুজ্জামান বুলবুল ও বিদ্রোহী প্রাথী সাজেদুর রহমান খান মজনুকে নিয়ে দীর্ঘ দিনের দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। আর বিএনপির প্রাথী শরিফুজ্জামান তুহিন এই সুযোগে ঘর গুছিয়ে জোর দিয়ে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ভোট সুষ্ঠ হবে কি না এই সংসায় আছে বিএনপির নেতা কর্মীদের মধ্যে। আর ভোটাররা বলছে উন্নয়ন জন্য তারা সৎ যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেবেন। জানাযায়, আগামী ৩০ জানুয়ারি কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন ৫ জন। কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রাথী আর মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রাথী। ইতিমধ্যে প্রতীক বরাদ্ধ হয়ে গেছে। কলারোয়া পৌরসভায় ২১ হাজার ২’শ ৮১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ হাজার ২’শ ৮৫ জন ও নারী ভোটার রয়েছে ১০ হাজার ৯’শ ৯৬ জন। এবারের এ নির্বাচনে ৯টি কেন্দ্রে ৬৩টি কক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন উপলক্ষে পোষ্টার, আর ব্যানারে ছেয়ে গেছে পৌরসভার প্রতিটি ওয়াড। মেয়র পদে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র মনিরুজ্জামান বুলবুল। আর বিদ্রোহি প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক আহবায়ক. সাজেদুর রহমান খান মজনুর। তার প্রতীক মোবাইল ফোন । আওয়ামীলীগের একটি বড় অংশ বিদোহী প্রার্থী সাজেদুর রহমান খান মজনুর কাদে কাদ মিলিয়ে কাজ করছে। দলের মধ্যে গ্রুপিং থাকার কারণে কলারোয়ায় পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী এই পর্যন্ত জয়লাভ করতে পারিনি । সুষ্ঠ ভোট যদি হয় আর বিদ্রোহী প্রাথী থাকে তবে নৌকার প্রাথীর ভরা ডুবি হবে এমনটাই বলছে সাধারণ ভোটাররা। বিএনপিরর প্রার্থী শরিফুজ্জামান তুহিন পেয়েছেন ধানের শীষ প্রতীক। এছাড়া বিএনপির বিদ্রোহি প্রাথী হয়েছেন শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার আসামী বরখাস্ত মেয়র আক্তারুল ইসলাম (নারকেলগাছ প্রতীক) ও তার স্ত্রী নাসরিন সুলতানা (জগ প্রতীক) মেয়র পদে লড়ছেন। শরিফুজ্জামান তুহিন বলছেন তার দলের নেতা কর্মীরা দলের বিদ্রোহি এই দুই জনকে দলের সিন্ধ্যান্ত মেনে নিতে বলেছে । তবে তারা দলের সিন্ধ্যান্ত মানছে না । তাদের সাথে আলোচনা চলছে । বিদ্রোহি প্রার্থীরা দলীয় সিন্ধ্য্ন্ত মেনে নিলে ধানের শীষের জয়লাভ করতে সহজ হবে। তবে বিএনপির কর্মী সামর্থকরা একথাও বলছে কৌশলগত করণে তারা দলের ৩ জন প্রার্থী রেখেছেন ।এছাড়া সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত বরখাস্ত মেয়র আক্তারুল ইসলামের একাধিক মামলা রয়েছে।এসব মামলায় সাজা হয়ে যেতে পারে। বিএনপি দলীয় ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী শরিফুজ্জামান তুহিন জানান, ভোট যদি সুণ্ঠ হয় আর মানুষ যদি ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে তবে তিনিই এই নির্বাচনে জয় লাভ করবেন। আওয়ামীলীগের বিদ্রোহি প্রাথী সাজেদুর রহমান খান মজনু জানান, তিনি নৌকা প্রতীক চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়নি। তিনি পৌরসভার নেতা কর্মী সামর্থকদের চাপে মেয়র পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। দলেয় নেতা কর্মীরা তার সাথে আছে। ঢাকা থেকে নৌকা প্রতীক দেওয়া প্রাথীকে স্থানীয় নেতাকর্মীরা মেনে নিতে পারছে না। কলারোয়া আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী মনিরুজ্জামান বুলবুল জানান, দল তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। সাধারণ মানুষ তাকে ভাল বাসে।সাধারণ ভোটারদের সাথে নিয়ে তিনি নির্বাচনি কাজ করে যাচ্ছেন। এই নির্বাচনে তিনি জয় লাভ করবেন বলে জানান। কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টু জানান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এর আগে পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিরোধিতা করেছিল। যার কারনে পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রাথী পরাজিত হয়। এছাড়া তিনি বরাবরই দলের লোকজনদের সাথে বিরোধিতা করেন। এবার তার শ্যালক নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। সে কারনে দলের লোকজন তাকে মেনে নিতে পারছেন না। দলের নেতা কর্মীদের বুঝিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট নিতে হবে । কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন জানান, গত নির্বাচনে তিনি নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন। তার নিজের কেন্দ্র সে সময় নৌকা প্রতীক প্রথম হয়েছিল। দলের মধ্যে কিছু লোক আছে নেশা গ্রস্থ। তারা জামায়াত বিএনপির লোক নিয়ে চলে। তারা এবার নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন জানান, জামায়াত বিএনপির নিকট থেকে টাকা নিয়ে এই পৌরসভা নির্বাচনে দলের বিদ্রোহি প্রার্থী হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।