জাহাঙ্গীর আলম লিটন : বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে কলারোয়া বিশ্বাস মার্কেটে হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের কার্যালয়ে ওই বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সিদ্ধেশ^র চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও সন্তোষ কুমার পালের পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন-সাতক্ষীরা জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ^জিৎ সাধু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন-জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, যুগ্ম সম্পাদক নিত্যনন্দ আমিন, বাসুদেব সিংহ, সাংগঠনিক সম্পাদক আসিম দাস সোনা, কার্যনির্বাহী সদস্য তারক মন্ডল, কলারোয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনোরঞ্জন সাহা, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ রায়, কেঁড়াগাছি হরিদাস ঠাকুর আশ্রামের সভাপতি অধ্যাপক কার্ত্তিক চন্দ্র মিত্র প্র্রমুখ। উল্লেখ্য-জেলা নেতৃবৃন্দ বর্ধিত সভায় বলেন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ একটি অলাভজনক সংগঠন, যা বাংলাদেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার রক্ষা করতে প্রতিষ্ঠিত হয়। (১) দলনিরপেক্ষ এই সংগঠনটি ১৯৮৮ সালে ঢাকায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল চিত্ত রঞ্জন দত্ত প্রতিষ্ঠা করেন। (২) ১৯৮৮ সালের জুন মাসে বাংলাদেশের সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর মধ্য দিয়ে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করা হয়। ঐদিনই ঐক্য পরিষদ গঠিত হয়, যদিও ঘোষণা এসেছিল কিছু দিন পরে। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ৯ জুনকে কালো দিবস হিসেবে পালন করেছিল। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে উত্তর আমেরিকার বাংলাদেশী ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুরা নিউ ইয়র্কে ঐক্য পরিষদের একটি শাখা খোলেন। ২০০৫ সালে টরন্টোতে কানাডিয়ান শাখা গঠন করা হয়েছিল। এটি ফ্রান্সের মত ইউরোপীয় দেশগুলিতেও এর শাখা রয়েছে। এই দাতব্য সংস্থার তহবিলের উৎস হচ্ছে সদস্যদের এবং সরকারের দান।