এসএম বাচ্চু, তালা : মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় কুলের চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে চাষিদের। দিন দিন এই অঞ্চলে কুলের চাষ বেড়েই চলেছে। এখানকার অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে কুল বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কৃষি কর্মকর্তারা। তালা উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পরিতোষ কুমার বিশ্বাস জানান, উপজেলায় সর্বশেষ তথ্য মতে এবার ১৫৮ হেক্টর জমিতে কুল চাষ হয়েছে। প্রদর্শনী প্লটে করে আমরা সার ও বিভিন্ন প্রজাতির কুলের চারা বিনামূল্যে প্রদান করেছি। কুল চাষ লাভজনক হওয়ায় অন্যান্য ফসল উৎপাদন কমিয়ে উপজেলার কৃষকরা কুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। উপজেলার পাটকেলঘাটা শাকদহ,নগরঘাটা,ভৈরব নগর,জাতপুর,আগোলঝাড়া, খলিলনগর সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় জেলায় কুলের চাষ দিকে ঝুকে পড়ছে চাষিরা। সাতক্ষীরা জেলার কুল দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি হয় তার বেশির ভাগ কুল তালা উপজেলা থেকে সরবরাহ করা হয়। তালা উপজেলায় বাউকুল, আপেলকুল, তাইওয়ানকুল, নারিকেলি, ঢাকা নাইনটিসহ বিভিন্ন জাতের কুলের চাষ বেশি হচ্ছে। কুল চাষ লাভজনক হওয়ার কারনে চাষিরা এই পেশাকে আকড়ে ধরে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সফল কুল চাষি মোঃপানজাব আলী বলেন, আমি পাঁচ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে কুল চাষ করেছি এখানে নানা প্রজাতির কুল যেমন বলসুন্দরী,নারকেল, আপেল, কাশ্মীর ও টক জাতের ২৫০ টি মতো কুলগাছ রোপণ করেছি। ৫ বিঘা জমিতে কুল চাষ করে এখন পর্যন্ত তিন লক্ষ টাকা মত ব্যয় হয়েছে। বাজারদর বর্তমানের মত স্বাভাবিক থাকলে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা বিক্রি হবে আশা করছি। কুল চাষী হাবিবুর রহমান বলেন, এবছর পাইকারি হারে ৮০-৯০ টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। এভাবে যদি বাজার থাকে তাহলে অনেক লাভ হবে। কৃষক খোদাবক্স ও জামু সরদার বলেন এবার আমাদের কুলের বাগানে প্রচুর পরিমানের কুল হয়েছে, যদি অতিরিক্ত ঝড় বৃষ্টি না হয় তাহলে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এছাড়া চাষিরা বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস কুল চাষের উপড়ে আমাদেরকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, বিনামূল্যে সার ও কুলের চারা প্রদান করেছেন। আমরা মাছের ঘেরে ভেড়ির উপর বাড়ির আঙ্গিনায় ও বিলান জমিতে কুল চাষ করছি। কুলচাষ একটি লাভজনক পেশা। আশা করছি কুলচাষে আমাদের মতন সকল চাষিরা আগ্রহী হবেন।