কালিগঞ্জ

কালিগঞ্জে নির্বাচন কর্মকর্তা না থাকায় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ

By daily satkhira

January 19, 2021

আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু : একজন নির্বাচন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন দুইটি উপজেলায়। দুটি উপজেলার দুরত্ব বেশী হওয়ায় ঠিকমত অফিসে আসতে পারে না অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা এই কর্মকর্তা। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকার মানুষদের আইডি কার্ড সংশোধনসহ বিভিন্ন ধরণের কাজ নিয়ে নির্বাচন অফিসে আসলেও সেবা ছাড়াই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে এমনটাই দেখা যায় উপজেলা নির্বাচন অফিসের চিত্র। এই অফিসে একজন নির্বাচন কর্মকর্তা, একজন কম্পিউটার অপারেটর, একজন অফিস সহকারী, দুইজন আউট সোসিংয়ের নিয়োগপ্রাপ্ত ডাটা এন্টি অপারেটসহ পাঁচ জন থাকার কথা থাকলেও অফিস করছেন মাত্র তিন জন। এ কারণেই সেবা নিতে আশা ব্যাক্তিরা সেবা না পেয়েই বাড়ি ফিরছেন। গত বছরের জুন মাসে বদলি জনিত কারণে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জমিরুল হায়দার চলে যাওয়ায় দীর্ঘ সাত মাস যাবত নির্বাচন কর্মকর্তার পদটি শূণ্য রয়েছে। কলারোয়া উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মনোরঞ্জন বিশ^াস অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করলেও মানুষের ভোগান্তি কমছেনা। সাবেক ইউপি সদস্য গাজী আব্দুস সাত্তারসহ একাধিক ভূক্তভোগি ব্যাক্তিরা এপ্রতিনিধিকে জানান, সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এলাকার মানুষ আইডি কার্ডসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে নির্বাচন অফিসে এসে কর্মকর্তাকে না পাওয়ায় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কর্মকর্তা না আসলে মানুষের ভোগান্তি আরো বাড়বে। এদিকে চলতি বছর মার্চের দিকে স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হতে পারে বলে জানাগেছে। আর এই গুরুপ্তপূর্ণ সময়ে ভোটাররা তাদের বিভিন্ন ধরণের সমস্যা নিয়ে নির্বাচন অফিসে আসলেও দেখা মিলছেনা কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তার। এতে করে সমস্যায় পড়া ব্যাক্তিদের নানা প্রশ্নের জবাব দিতে হিতশিম খাচ্ছেন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর রেজাউল ইসলাম। অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনোরঞ্জন বিশ^াস বলেন, আমার পোষ্টিং মূলত কলারোয়ায়, আমি কালিগঞ্জ উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। সব দিন তো আর কালিগঞ্জের অফিসে আশা যায়না। বর্তমানে কলারোয়ায় পৌর-নির্বাচন চলছে আগামি ৩০ তারিখের পরে ছাড়া কালিগঞ্জ আসতে পারবো না। অফিসার না থাকার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি গত দুই দিন পূর্বে এখানে যোগদান করেছি। খোঁজ খবর নিয়ে উর্দ্ধোতন কর্মকর্তদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবো। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী বলেন, নির্বাচন অফিসার না থাকায় সাধারণ মানুষ বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন এটা আমি শুনেছি। অতিরিক্ত একজন কর্মকর্তা দায়িত্বে পালন করছে। তবুও একজন ব্যাক্তি দুই উপজেলায় দায়িত্ব পালন করা কঠিন। দ্রুত সময়ের মধ্যে অফিসার যাতে আসে সে বিষয় নিয়ে কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা চলছে।