নিজস্ব প্রতিনিধি : স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ভূয়া অনুমোদন পত্র তৈরি করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমোদন সাপেক্ষে বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানের মোটা অংকের টাকা আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের ষাট লিপিকার একেএম শহীদুজ্জামান ওরফে টুটুলকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বৃহষ্পতিবার তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে আবেদন করলে সাতক্ষীরার বিশেষ আদালতের বিচারক শেখ মফিজুর রহমান তার জামিন না’মঞ্জুর করেন। আসামী একেএম শহীদুজ্জামান সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানাধীন পারকুমিরা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সোহরাবউদ্দিনের ছেলে। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে অনিয়ম ও দূর্ণীতির মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনপত্র তৈরি করে তা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে উপস্থাপন করে তা অনুমোদন করান সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের ষাটলিপিকার একেএম শহীদুজ্জামান। পরবর্তীতে ওইসব প্রকল্প থেকে তিনি জেলা পরিষদের মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করেন বলে দূর্ণীতি দমন কমিশনের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষ তদন্তে প্রমাণ পান। এ ঘটনায় তিনি গত বছেরর ৩ নভেম্বর খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে একেএম শহীদুজ্জামানের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪৬৭,৪৬৮ ও ৪৭১ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দূর্ণীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করেন। একেএম শহীদুজ্জামান সাতক্ষীরা সদরের দেবনগরের বেগম রোকেয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে উন্নয়ন প্রকল্পে তিন লাখ টাকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের সময় ২০১৮ সালের ১২ জুন তার অফিসে দুদক কর্মকর্তাদের হাতে আটক হওয়ার পর জেল হাজতে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। জানতে চাইলে একেএম শহীদুজ্জামান বলেন , তিনি পরিস্থিতির শিকার। সাতক্ষীরা বিশেষ আদালতে দুদকের মামলা পরিচালনাকারি অ্যাড. আসাদুজ্জামান প্রতারণা ও দূর্ণীতির মামলায় জেলা পরিষদের ষাটলিপিকার একেএম শহীদুজ্জামন জেল হাজতে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।