বিদেশের খবর : যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মন্ত্রিসভায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন লয়েড জে. অস্টিন থ্রি। দেশটির ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো কোনো কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুর পাশাপাশি তাকে সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে বর্ণবাদের চ্যালেঞ্জটিও মোকাবিলা করতে হবে দৃঢ়ভাবে।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) পেন্টাগন প্রধান হিসেবে তার নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করে মার্কিন সিনেট।
৬৭ বছর বয়সী অস্টিনকে এখন ইরাক, আফগানিস্তান, ইয়েমেন ও সিরিয়ার দায়িত্বরত মার্কিন সেনাদের বিশাল বহরকে নিয়ন্ত্রণের গুরুদায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হবে।
দায়িত্ব নিয়ে সেনাবাহিনীর প্রতি এক লিখিত বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘দায়িত্বক্ষেত্রে আপনাদেরকে আরও কার্যকরী করে তোলাটাই প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে আমার কর্তব্য। অর্থাৎ, আমাদের শত্রুদের প্রতিহত করতে আপনাদের কাছে যথেষ্ট সরঞ্জাম, প্রযুক্তি, অস্ত্র এবং প্রশিক্ষণ রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা। এর মানে হলো সুষ্ঠু নীতি এবং কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে আপনাদেরকে লক্ষ্য সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেয়া। পাশাপাশি আমাদের বন্ধু এবং সহযোগীদের সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চটুকু দেয়া।’
‘জনগণ আমাদের কাছ থেকে এটাই চায়।’
মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ জেনারেলের দায়িত্ব পালন করার পর ২০১৬ সালে অবসরে যান অস্টিন। এর আগে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে ২০১২ সালে তিনি দেশটির সেনাবাহিনীর ভাইস চিফ অব স্টাফের দায়িত্ব পান।
এছাড়া, তিনি প্রতিরক্ষা বিভাগের ডিরেক্টর অব জয়েন্ট স্টাফ হিসেবেও কাজ করেছেন। মূলত পর্দার পেছনে থাকা এই পোস্টে কাজ করতে গিয়েই পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ কাঠামোকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে অস্টিনের।
বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০১০-১১ সালে যখন বারাক ওবামা প্রশাসনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন বাগদাদে মার্কিন বাহিনীর টপ কমান্ডার ছিলেন অস্টিন। তাদের মধ্যে আস্থার সম্পর্কের শুরুটা সেখান থেকেই।