কলারোয়া প্রতিনিধি : কলারোয়া উপজেলা সদর সহ গ্রামগঞ্জে কোটি কোটি টাকা মূল্যের সরকারি সম্পত্তি দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এতে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা বাধাগ্রস্থ হওয়ায় প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার ফসল হানি ঘটছে। সরেজমিনে ও সংশ্লিষ্ট একাধিক সুত্রে জানা গেছে, কলারোয়া উপজেলা সদরের উপর দিয়ে প্রবাহিত বেত্রাবতী নদীতে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়া চর জেগে উঠেছে। কলারোয়া বাজার সংলগ্ন বেত্রাবতী নদীর চরের ও পাড়ের এই জমি ইতিমধ্যে ভূমি দস্যুরা দখল করে ভবন সহ ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছে। আর এলাকায় বেত্রাবতী ও কপোতাক্ষ নদীর জেগে উঠা চর দখল করে পুকুর ও ঘের তৈরি করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এভাবে নদী সংকুচিত হয়ে পড়ায় বর্ষা মৌসুমের উজানের পানি সাগরে প্রবেশ চরম ভাবে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। ফলে উজানে বা দেশের অভ্যান্তর ভাগের পানি কপোতাক্ষ ও বেত্রবতী নদী উপচে পার্শ্ববর্তী জনপদ ও ফসলী জমি ডুবিয়ে দিচ্ছে। অনেকে আবার সুযোগ বুঝে পয়সার বিনিময়ে বেত্রাবতী চরের ও পাড়ের সরকারি জমি ছিন্নমূল পরিবারের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। দূর্ণীতিবাজ ভূমি রাজস্ব বিভাগের এবং সেটেলমেণ্ট কর্মকর্তারা মোটা টাকার বিনিময়ে বেত্রাবতী চরের ও পাড়ে জমি ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড করে দিয়েছে। একই ভাবে কপোতাক্ষ নদীর জেগে উঠা চর মোটা টাকার বিনিময়ে ভূমি দস্যুদের নামে রেকর্ড করে দেওয়া হয়েছে বলে সুত্র জানায়। এছাড়া বড়ালী সোনাই নদী থেকে ইছামতী নদীর সংযোগ খাল, বহুড়া কোমরপুর এলাকার খাল, দাকোপ বিল থেকে সীমান্তের চান্দা পর্যন্ত সোনাই খালের জমি রের্কড করে নেওয়া হয়েছে। সরকারি রাস্তার জমি দখল করে মাছের ঘের ও পুকুর খনন করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। কলারোয়া বাজারে ঢাকা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে অনেক জমি পুনরায় বেদখল হয়েছে। সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে ভেঙ্গে দেওয়া কলারোয়া হাসপাতাল সড়কের পাশে সরকারি জমি আবারও দখল করে নেওয়া হয়েছে। এদিকে সোনাবাড়িয়া বাজার, গয়ড়া বাজার, বালিয়াডাঙ্গা বাজার, কাজিরহাট বাজার, সরসকাটি বাজার, খোর্দ্দ বাজারের কোটি কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করা হয়েছে। এসবের সংগে একশ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা জড়িত রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সুত্র জানায়। রাস্তার পাশের লাখ লাখ টাকা মূল্যের সরকারি গাছপালা নিলাম কেনার নাম করে কেটে নেওয়া হচ্ছে।