ফিচার

বাঘের আক্রমণে নিহত সাতক্ষীরার দুই ব্যক্তির সন্ধান মেলেনি, ফিরেছে প্রত্যক্ষদর্শী

By Daily Satkhira

January 24, 2021

নিজস্ব প্রতিবেদক : সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে নিহতদের খোঁজ মেলেনি। ঘটনার তিন দিন পর নিহতদের সঙ্গী আবু মুসা আজ রবিবার দুপুরে এলাকায় ফিরেছে। মুসার দাবি, তার সঙ্গী রতন ও মিজানুরকে বাঘে ধরে নিয়ে যায়। মুসা ওই ঘটনার প্রতাক্ষদর্শী। নিখোঁজ ব্যক্তিরা কৈখালী ইউনিয়নের পশ্চিম কৈখালী গ্রামের কফিল উদ্দীন বাঙ্গালের পুত্র রতন (৩৫) ও মনো মিস্ত্রীর পুত্র মিজানুর রহমান (৪০)।

জয়াখালী গ্রামের সাত্তারের পুত্র আবু মুসা (৪০) জানায়, স্থানীয় চোরাকারবারি মামুন ও আজিজুল তাদেরকে কামলা হিসাবে ভারতে গরু আনতে পাঠায়। গত বুধবার রতন ও মিজানুরকে নিয়ে তারা তিনজন ভারত থেকে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে চোরাই পথে গরু আনার জন্য নৌকাযোগে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। সুন্দরবনের ভারত সীমান্ত চিলমারী নামক জায়গায় পৌঁছানোর পর দুপুর হয়ে যায়। এ সময় তারা রান্নার জন্য জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে বনে প্রবেশ করে। একটি বাঘ প্রথমে মিজানুরের ওপর আক্রমণ করে। মিজানুরকে বাঁচাতে রতন এগিয়ে গেলে বাঘটি রতনকেও ধরে ফেলে। এ সময় সে (আবু মুসা) খালের ভেতর লাফিয়ে পড়ে নৌকার আড়ালে বসে নিজেকে রক্ষা করে। পরে বাড়িতে ফোন করে বিষয়টি জানায়।

নিহত রতনের পিতা কফিলউদ্দীন, স্ত্রী তাসলিমা খাতুন জানায়, গত বুধরার রাতে উপজেলার সাহেবখালী গ্রামের জাহার আলী কয়ালের ছেলে মামুন কয়াল, মতিয়ার গাজীর ছেলে সোহরাব ও পশ্চিম কৈখালী গ্রামের রুহুল আমিনের পুত্র আজিজুলসহ ৫/৬ জন ভারত থেকে গরু আনার জন্য রতনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার মামুন তাদের বলে, সে মুসার মাধ্যমে জানতে পেরেছে রতন ও মিজান সুন্দরবনে বাঘে আক্রমণ নিহত হয়েছে। বাড়ি ফিরেই আবু মুসা চোরাকারবারিদের নিয়ন্ত্রণে চলাফেরা করছে এবং তাদের বানানো গল্প বলছে।

বন বিভাগের কমদতলা স্টেশন কর্মকর্তা বলেন, সংরক্ষিত সুন্দরবনে প্রবেশর যে গল্প মুসা বলছে তার বাস্তবতা নেই। বাংলাদেশের শেষ প্রান্তে কৈখালী। নদী পার হলেই ভারত। এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে এলাহার চিহ্নিত চোরাকারবারি সিন্ডিকেট হরহামেশায় কাজ করে যাচ্ছে। সুন্দবনের মধ্য দিয়ে চোরাচালানরোধে বিজিবিকে আরো সক্রিয় হতে হবে বলে তিনি মনে করেন।

কৈখালী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা মোবারক আলী পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বিপরীতে ভারতীয় অংশে পাইজুরি খালে (ম্যাপে নেই) দুই ব্যক্তি বাঘের আক্রমণে নিহত হন। জীবিত থাকা আবু মুসার মাধ্যমে ঘটনাটি জানা গেছে। তবে এখনো মরদেহ দুটির কোনো সন্ধান মেলেনি। স্থানটি দুর্গম হওয়ায় উদ্ধারকাজ অসম্ভব হয়ে পড়েছে।