নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা বাজার সংলগ্ন এলাকায় বিচারাধীন জমিতে দোকান নির্মাণ করে পথ বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে বুধহাটা বাজার সংলগ্ন মেসার্স গাজী ওয়াটার টেকনোলজির স্বত্বাধিকারী আশাশুনি উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমান এ অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি ব্যবসা করার জন্য বুধহাটা বাজার সংলগ্ন মেইন রাস্তার পাশে বুধহাটা মৌজার ৬৭৪ খতিয়ানের হাল ২৭০৪, ২৭০৫, ২৭০৬ দাগে ২০ শতক জমি ক্রয় করি। যার আপোষ চিহ্নিত মতে উক্ত তিন দাগে ১৭৬৬ নং কোবলা মুলে ৬ শতক ও একই দাগে ২৬৭১ কোবলা মুলে পরিত্যক্ত ভবনসহ ৩ শতক এবং ২৯৬৪ নং কোবলা মূলে ১১শতক জমি হাবাসপুর গ্রামের মৃত তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে মোতাহার হোসেনের কাছ থেকে খরিদ করি। উক্ত সম্পত্তি নামপত্তন ও খাজনাদি পরিশোধ করি। গত বছরের ১৩ডিসেম্বও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আমার মেসার্স গাজী ওয়াটার টেকনোলজি’র অফিস উদ্ধোধন করি। কিন্তু বুধহাটা এলাকার আরশাদ আলীর ছেলে সাইফুল্লাহ (সুমন) একই খতিয়ান ও দাগ থেকে মাত্র দুই শতক জমি ক্রয় করেন। আপোষ চিহ্নিত মতে ২৭০৪ দাগে তার ভোগ দখল করার কথা। কিন্তু তিনি ২৭০৬ দাগে আমার দলিল মূলে চিহ্নিত দাগে তৈরিকৃত মার্কেট, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানসহ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের চলাচলের পথ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছেন। মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমি ব্যবসা করে জীবন জীবীকা নির্বাহ করি। কিন্তু সুদেও কারবারি সাইফুল্লাহ আমার ক্রয়কৃত ২০ শতক জমির পূর্ব পাশে সাতক্ষীরা-চাপড়া মেইন সড়কের সমস্ত জায়গা গায়ের জোরে অবৈধ দখল করে রেখেছে। আমার চলাচলের পথ বন্ধ করায় আমি সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০৮৫/২০ নং পিটিশনসহ গত ৫ জানুয়ারি আরো একটি মামলা দায়ের করি। আদালত সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশাশুনিকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন এবং ওসি আশাশুনি থানাকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আদেশ দেন। আশাশুনি ভূমি অফিস ও থানার পক্ষ থেকে গত ২১ জানুয়ারি নোটিশ জারির মাধ্যমে উভয় পক্ষকে সতর্ক করেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশ অমান্য করে সাইফুল্লাহ আমার জমিতে পাকা নির্মাণ কাজ অব্যহত রেখেছে। আমি বাধা প্রদান করলে সুমন ও তার ক্যাডার বাহিনী আমাকেসহ পরিবারের সদস্যদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টি আশাশুনি থানার ওসিকে জানলে তিনি কোন পদক্ষেপ নিতে অপারগতা প্রকাশে করেন। ফলে তাদের ভয়ে পরিবারের সদস্যদেও নিয়ে ভীত সন্তস্ত্র হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। তিনি আরো বলেন, সাইফুল্লাহ সুদের ব্যবসা কারনে অনেক পরিবার সহায় সম্পত্তি এমনকি বসতভিটা হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছে। বর্তমানে ২৭০৪ দাগের যে জমি খরিদ করা দেখাচ্ছে ওই জমিও সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে তাকে লিখে দিতে বাধ্য হয়েছিলো। সেই সুদখোর সাইফুল্লাহ আমার কোবলাকৃত জমি দখল করে যাতয়াতের পথ বন্ধ করে পাকা নির্মান অব্যহত রেখেছে। তিনি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সাইফুল্লাহ কর্তৃক পাকা ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করার পাশাপাশি নিজের ক্রয়করা সম্পত্তিতে যাতে শান্তিপূর্নভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রায়হানুল ইসলাম, হাসান ইকবল মামুন, তানভীর হোসেন মিটু, কামরুল ইসলাম, মমিনুর রহমান, আব্দুল মালেক প্রমুখ।