জাতীয়

কেউ কেউ আত্মীয়তার পরিচয়ে টেন্ডার বাণিজ্য করছে- কাদের মির্জা

By Daily Satkhira

January 31, 2021

রাজনীতির খবর : বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরের উদ্ধৃতি দিয়ে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘তার (ওবায়দুল কাদের) মন্ত্রণালয়ে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি কেউ করতে পারবে না। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, আমাদের আত্মীয়তার পরিচয় দিয়ে কেউ কেউ টেন্ডার বাণিজ্য করছে। এটা চলতে দেয়া যায় না।’

রোববার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে তিনি এসব দাবি করেন।

কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি আজকে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সড়ক সচিব নজরুল ইসলাম সাহেবকে কয়েকজনের নাম বলেছি। আপনি তাদের কোনো অবস্থায়ই আপনাদের অফিসে স্থান দিতে পারবেন না। তাদের নিষিদ্ধ করুন।’

বসুরহাটের এই আলোচিত মেয়র এ সময় তাদের ভাগনে পরিচয়দানকারী ইস্কান্দার মির্জা শামীম, ফখরুল ইসলাম রাহাত, কোম্পানীগঞ্জের মিজানুর রহমান বাদল, চট্টগ্রামের আনাছ, বাবু ও আজাদের নাম বলেন।

তিনি বলেন, ‘এদের মধ্যে ইস্কান্দার মির্জা শামীম লক্ষ্মীপুরের মো. কাউছার হামিদ মজুমদারকে কাজ নিয়ে দেবে বলে দুই কোটি টাকার চেক নেয়। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে এক কোটি টাকা তুলে ফেলে। কিন্তু তার কাজ সে এখনও পায়নি।’

বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরকে নিজের পিতৃতুল্য অভিভাবক উল্লেখ করে কাদের মির্জা বলেন, ‘তার সাথে শনিবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি। তিনি আমাদের শান্ত থাকতে বলেছেন। কিন্তু আগামী এক মাসের মধ্যে (৩১ দিনও হতে পারবে না) যদি নোয়াখালীর অপরাজনীতির সমস্যার সমাধান না হয় অথবা অপরাজনীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া হয়, সেক্ষেত্রে আমরা ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দায়িত্বে কখনও যাব না। আমার এমপি হওয়ারও কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই। আমি নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কোনো দায়িত্ব নেব না। আমি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন সদস্য হিসেবে কাজ করে যেতে চাই। আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি, যে কাজ করে সেই নেতা। দায়িত্বে না থেকেও কাজ করা যায়, সে প্রমাণ আমি করতে চাই।’

এ সময় তিনি কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাটের বেকার শিক্ষিত যুবকদের চাকরি না দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ অফিসারদের আত্মীয় পরিচয়দানকারী ব্যক্তিদের বিভিন্ন প্রকল্পে চাকরি দেয়ার ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

লাইভ ভিডিও সম্প্রচারের সময় তার সঙ্গে ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী প্রমুখ।