নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে এক মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীকে পাশ করিয়ে দেয়ার নামে ৫লাখ টাকা নিয়েছে উপজেলা যুবলীগের নেতা। এঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে কলারোয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে। ভুক্তভোগী কলারোয়া উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের শেখ আক্তারুজ্জামানের স্ত্রী হাছিনা আক্তার ময়না রোববার জানান,তিনি ৭,৮,৯নং ওয়ার্ড থেকে এবার জবাফুল প্রতীক নিয়ে সংরক্ষতি মহিলা কাউন্সিলর পদ প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এই নির্বাচনের আগের দিন ২৯ জানুয়ারী রাত দেড়টার দিকে কলারোয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তুলসীডাঙ্গা গ্রামের সোনা কাজীর পুত্র কাজী আসাদুজ্জামান সাহাজাদা তার বাড়ীতে গিয়ে বলে তার প্রশাসনের লোকজন আছে, যাদের দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হবে। তার এমন কথায় বিশ^াস করে মৌখিক নির্বাচনী চুক্তি হয়। ওই সময় সে তার কাছ থেকে নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা নেয়। সে এসময় বলে ৩০ জানুয়ারী জবাফুল মার্কা বিজয়ী হবে।
সে এসময় আরো বলে, জেলা পুলিশকে এই টাকাগুলি দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, একই ভাবে বহু প্রার্থীর কাছ থেকে কাজী শাহাজাদা টাকা নিয়েছে। নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর বর্ণিত ফলাফল ঘোষনার সময় ময়নার নাম ঘোষণা না হওয়ার কারণ যানতে চাইলে সে এড়িয়ে যান। পরের দিন ৩১জানুয়ারী বেলা দেড়টার দিকে কলারোয়া বাজারের শাপলা সিনেমা হলের সামনে কাজী শাহাজাদাকে পেয়ে আমার ছেলে শেখ মাসুমুজ্জামান ও শেখ নাজিমুজ্জামান উক্ত টাকা ফেরত চায়। এসময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতারক কাজী শাহাজাদা ক্ষিপ্ত হয়ে শেখ নাজিমুজ্জামানকে ধরে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করে নীলা ফোলা জখম করে। পরে তার ডাকচিৎকারে পাশ^বর্তী লোকজন এগিয়ে আসলে সে খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। তিনি এসকল ঘটনা উল্লেখ্য করে ৩১জানুয়ারী বিকালে কাজী আসাদুজ্জামান সাহাজাদাকে বিবাদী করে কলারোয়া থানায় লিখিত ভাবে একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত কলারোয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কাজী আসাদুজ্জামান শাহজাদার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
০১.০২.২০২১