সাতক্ষীরা

ক্লিনিকের আড়ালে দেহ ব্যবসা ; স্বপ্না ক্লিনিকের মালিক বিধান ধর্ষণ মামলায় আটক

By Daily Satkhira

May 17, 2017

এম বেলাল হোসাইন : ভালো কাজে মোটা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ক্লিনিকে রেখে দফায় দফায় জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে ক্লিনিক মালিক বিধান মন্ডলকে অবেশেষ আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে স্বপ্না ক্লিনিক থেকে তাকে আটক করা হয়। অভিযোগকারী ওই নারীর ভাষ্য মতে, বিধান প্রায়ই ক্লিনিকের বিভিন্ন কক্ষে খদ্দেরসহ নারী ও মদের আসর বসাতো। ঘটনার শিকার ওই নারীর বাড়ি জেলার আশাশুনি উপজেলার তুলসীডাংগা গ্রামে। ধর্ষণের শিকার হয়ে ওই নারী একাধিক স্থানে মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ করেও কোনো ফল না পেয়ে বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরতে থাকে। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ধর্ষিতার অভিযোগ আমলে নিয়ে বিধান মন্ডলকে আটক করে। সাতক্ষীরা সদর দায়েরকৃত এ মামলার নং ৩৪, তারিখ ১৭/০৫। ধর্ষণের শিকার ওই নারীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মাস কয়েক আগে ভালো কাজে মোটা টাকার বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে স্বপ্না ক্লিনিকে চাকরি দেয় বিধান। চাকরির কয়েক দিনের মধ্যে প্রকাশ পায় বিধানের চরিত্র। বিধান ওই নারীকে ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে শহরতলীর বিনেরপোতা এলাকার এক মাদকাসক্ত ব্যক্তির সাথে অনৈতিক কাজে বাধ্য করে ওই নারীকে। ঘরের মধ্যে আটকে রেখে তাকে অনৈতিক কাজ করতে বলে বিধান। এতে ওই নারী আপত্তি জানায়। এক পর্যায়ে তাকে জোর পূর্বক বিধান ও তার সঙ্গী মিলে ধর্ষণ করে। এসময় বিধানও মাদকাসক্ত ছিলো বলে জানায় ওই নারী। এতে ওই নারী মাদকাসক্তদের যৌন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ঘরে দরজা খুলে চিৎকার দিয়ে বাইরে চলে আসে। এরপর ফাঁস হয় আসল ঘটনা। ধর্ষণের শিকার ওই নারী বিষয়টি এলাকার লোকজন ও ঘরমালিক মফিজুল ইসলামকে জানিয়ে বিচার দাবি করে। কিন্তু বিধানের ক্লিনিক সংগঠনের নেতারা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য ওই নারীকে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। এলাকাবাসি জানায়, টাকার বিনিময়ে বিধান হয়ে যায় ধুয়া তুলসি পাতা। কলঙ্কের দাগ মাখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে ওই নারীর গায়ে। ধর্ষণের শিকার ওই নারী এবং ক্লিনিকের আশেপাশের লোকজন জানায়, বিধানের স্বপ্না ক্লিনিকে অনেক নারী তার ভোগের শিকার হয়েছে। জোরপূর্বক অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য করা হয় এখানে। ইতোপূর্বে কয়েকবার নারী কেলেঙ্কারীর দায়ে এলাকাবাসি ও পুলিশ তাকে আটকও করেছে। কিন্তু প্রতিবারই সে টাকার বিনিময়ে ছাড়া পেয়ে গেলেও এবারে যেতে হয়েছে পুলিশের খাঁচায়। ক্লিনিকের আড়ালে বিধান স্বপ্না ক্লিনিককে মিনি পতিতালয় বানিয়েছে। ক্লিনিক ব্যবসার আড়ালে চলে দেহ ব্যবসা। এমন অভিযোগ এলাকাবাসির। এব্যাপারে ঘরমালিক মফিজুল ইসলাম জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি। মেয়ের মুখেও শুনেছি। এলাকাবাসির মুখেও শুনেছি। শোনার পর ক্লিনিক মালিক এ্যাসোসিয়েশনের লোকজন আমাকে ডেকেছিলেন। কিন্তু আমি সেখানে যাইনি। আমিও এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করি।