কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা পরিবারের সবাইকে অচেতন করে বাড়ির গ্রীলের তালা ভেঙে নগদ টাকা ও সোনার গহনাসহ চার লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। বৃহষ্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম নারায়ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অচেতন অবস্থায় প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করে।
বাকী দুইজন সুস্থ্য থাকায় তাদেরকে বাড়িতে রাখা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা হলেন, উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের পশ্চিম নারায়ণপুর গ্রামের সুরত আলী মোড়লের ছেলে সালাহউদ্দিন মোড়ল (৫২), তার স্ত্রী খাদিজা খাতুন (৪০)। বাড়িতে অবস্থান করছেন তাদের মেয়ে মোজাহার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী হানিফা খাতুন (১৪) ও একই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী তাকিয়া সুলতানা (১২)।
পশ্চিম নারায়ণপুর গ্রামের সুবেদ আলী মোড়ল জানান, তাদের বাড়ির পাশে বৃহষ্পতিবার রাতে মাহফিল হয়। রাত ১২টার দিকে তার ভাই সালাহউদ্দিন ও স্ত্রী ও দু’ মেয়ে ভাত খাওয়া দাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়ে। শুক্রবার সকালে ছোট ভাইয়ের মেয়ে তাকিয়া সুলতানার ঘুম ভেঙে যায়। সে বাবা, মা ও বোনকে ডেকে সাড়া না পাওয়ায় তাকে বিষয়টি অবহিত করে। তারা যেয়ে বাড়ির গ্রীলের দরজার তালা ও গ্রীল কাটা অবস্থায় দেখতে পান। ঘরের মধ্যে জিনিসপত্র ছড়ানো ছিটানো ছিল। পরে তিনি জানতে পারেন যে চেতাননাশক স্প্রে করে অথবা খাবারের মধ্যে চেতনানশক স্প্রে করে পরিবারের চারজন অচেতন হয়ে পড়ায় অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা নগত ৭৩ হাজার টাকা, চার ভরি ওজনের সোনার গহনা, ব্যাংকের চেক বইসহ প্রায় চার পাঁচ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। সৌভাগ্যবশত, মেয়ে তাকিয়ার ঘুম ভেঙে যাওয়ায় অসুস্থ ভাই ও তার স্ত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. তাহাজ্জুত হোসেন জানান, হানিফা ও তাকিয়া শঙ্কামুক্ত। তবে ৪৮ ঘণ্টা পার না হলে সালাহউদ্দিন ও খাদিজার অবস্থার কথা বলা যাবে না। তবে কি ধরনের চেতনানাশক ব্যবহার করা হয়েছে তা পরীক্ষা না করে বলা যাবে না বলে জানান তিনি। ঘটনার খবর পেয়ে উপ-পরিদর্শক গোবিন্দ আকর্ষণ হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেন বলেন, এ ব্যাপারে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।