খেলার খবর : চট্টগ্রাম টেস্টে মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করে মাঠ ছেড়েছেন মুমিনুল হক। দিন শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৭ রান। বাংলাদেশ এগিয়ে আছে ২১৮ রানে। মুমিনুল হক ৩১ ও মুশফিক ১০ রান করে অপরাজতি আছেন।
এর আগে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ২ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম বলেই সাফল্য তোলে বাংলাদেশ। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের বলে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান এনক্রুমা বোনার (১৭)। ভাঙে ৫১ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।
পরে বাংলাদেশের পথের কাটা হয়ে ওঠা ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে বোল্ড করে দেন নাঈম হাসান। উইন্ডিজ অধিনায়ক ১১১ বলে করেন ৭৬ রান। তার ইনিংসে চারের মার ১২টি। ৪র্থ উইকেট জুটিও ফিফটি পেরোয়। আসে ৫৫ রান। ব্র্যাথওয়েটের সঙ্গে দারুণ খেলতে থাকা কাইল মেয়ার্স আউট হন ফিফটির আগে, দলের দেড়শর পর। ৪০ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে হন এলবিডব্লিউ।
১৫৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ভাবা হচ্ছিলো, কতো কম রানে অল-আউট হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে সেই অবস্থা থেকে দলকে লড়াইয়ে ফেরান জার্মেইন ব্ল্যাকউড এবং ডা সিলভা। ৬ষ্ঠ উইকেটে দু’জনে মিলে গড়েন ৯৯ রানের অসাধারণ এক জুটি। তাদের এই জুটি ভাঙেন নাঈম হাসান। নিজের দ্বিতীয় শিকার হিসেবে দলীয় ২৫৩ রানে সাজঘরে ফেরান ডি সিলভাকে (৪২)।
সতীর্থকে হারিয়ে বেশিক্ষণ টিকেননি ব্ল্যাকউডও। দলের স্কোরবোর্ডে আর কোনো রান যোগ না হতেই মেহেদী হাসান মিরাজের বলে উইকেটরক্ষক লিটন দাশের গ্লাভসে বন্দী হন তিনি। ব্ল্যাকউডের ১৪১ বলে ৬৮ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিলো ৩ চার ও ১ ছয়ে। এর আগে ডি সিলভাকেও গ্লাভসে বন্দী করেন লিটন।
নতুন ব্যাটসম্যান কেমার রোচ নেমে শেষ সেশনের তৃতীয় বলেই আউট হন ডানহাতি অফস্পিনারের বলে। ডিপ মিডউইকেটে বদলি ফিল্ডার মোহাম্মদ মিথুনের ক্যাচ হন ডাক মেরে। মিরাজ তার পরের ওভারের প্রথম বলে রাকিম কর্নওয়ালকে বোল্ড করেন ২ রানে, এটি ছিলো বাংলাদেশি স্পিনারের চতুর্থ উইকেট।
পরে তাইজুল ইসলাম ৯৭তম ওভারে জোমেল ওয়ারিকানকে বোল্ড করে সফরকারীদের গুটিয়ে দেন। বাংলাদেশের ৪৩০ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে উইন্ডিজ করে ২৫৯ রান। স্বাগতিকরা নেয় ১৭১ রানের লিড।
১৭১ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নেমে বিপদে পড়েছে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে ১ রান তুলে দ্বিতীয় ওভারে রাকিম কর্নওয়ালের শিকার হয়েছেন তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুই বলের ব্যবধানে দু’জনই সাজঘরে ফিরেছেন শূন্য হাতে।
তামিম ৪ বল খেলে এলবিডাব্লিউ হন, আম্পায়ারের আউটের সিদ্ধান্তে রিভিউ নিয়ে বাঁচতে পারেননি তিনি। আর শান্ত দুই বল খেলে জার্মেইন ব্ল্যাকউডের ক্যাচ হন স্লিপে।
শুরুতেই দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে ওঠার দায়িত্ব পড়েছিলো ক্রিজে থাকা সাদমান ইসলাম ও নতুন ব্যাটসম্যান মুমিনুল হকের ওপর। মুমিনুল স্ট্রাইক রোটেটে মনোযোগি হলেও সাদমান খেলছিলেন পুরোপুরি টেস্ট মেজাজে। কিন্তু বেশিক্ষণ দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করতে পারেননি।
শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের শর্ট বলে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে সাদমান ধরা পড়েন উইকেটরক্ষক জশুয়া ডি সিলভার হাতে। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪২ বলে ৫ রান।
প্রথম ইনিংসে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজের সেঞ্চুরির সুবাধে ৪৩০ রান সংগ্রহ করে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ১০৩ রান করেন মিরাজ। সাকিব করেন ৬৮ এবং সাদমান করেন ৫৯ রান।