জাতীয়

স্বাস্থ্যসচিবের গ্রামের বাড়িতে হামলা, এসিল্যান্ড লাঞ্ছিত

By Daily Satkhira

February 06, 2021

অনলাইন ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় স্বাস্থ্যসচিব আবদুল মান্নানের গ্রামের বাড়িতে হামলা হয়েছে। শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের মানিকখালী এলাকায় একদল লোক এই হামলা চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। হামলার সময় স্বাস্থ্যসচিব তার বাড়িতে ছিলেন। তিনি কয়েক ঘণ্টা বাসায় অবরুদ্ধ ছিলেন। এসময় সেখানে থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার আশরাফুল আলম হামলাকারীদের হাতে লাঞ্ছিত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্বাস্থ্যসচিবের পরিবারের দাবি, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে স্থানীয় সাংসদ নূর মোহাম্মদের অনুগতরা এই হামলা চালিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্যসচিব আবদুল মান্নান ও সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের বাড়ি একই গ্রামে। স্বাস্থ্যসচিবের পরিবারের সদস্যদের দেয়া জায়গায় একটি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হচ্ছে। ক্লিনিক নির্মাণে সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছেন স্বাস্থ্যসচিব। ক্লিনিক নির্মাণ বিষয়ে এমপিকে অবগত করা হয়নি, এমন অভিযোগ তার অনুগতদের। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন আগে থেকে উত্তেজনা চলছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্যসচিব গ্রামের বাড়িতে যান। শনিবার বেলা ১১টার দিকে সচিব বাড়ির পাশের নির্মাণাধীন ক্লিনিকের কাজ দেখতে যান। এ সময় ২০ থেকে ২৫ জন লোক গিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার দাবি তোলেন। কারণ হিসেবে তারা বলেন, এ বিষয়ে এমপি অবগত নন। এ নিয়ে সচিবের সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি হলে তারা সেখান থেকে চলে যায়।

বেলা পৌনে একটার দিকে কয়েকটি অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসে করে নির্মাণাধীন ক্লিনিকের সামনে শতাধিক লোক আবার জড়ো হয়। তাদের হাতে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র ছিল। এ সময় তারা সচিবের নাম ধরে গালিগালাজ শুরু করে ও নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বলে। সচিব বাড়িতে আসার পর থেকে তার সঙ্গে অবস্থান করছিলেন এসিল্যান্ড আশরাফুল আলম। তিনি ঘটনা জানতে এগিয়ে আসামাত্র তার ওপর হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা তাকে পুকুরে ফেলে দেন। এ সময় নিজ বাড়িতে থাকা স্বাস্থ্যসচিব আবদুল মান্নান দীর্ঘসময় অবরুদ্ধ ছিলেন। নির্মাণশ্রমিকদের মারধর করে বের করে দেয়। আহত হন অন্তত ১০ জন। হামলাকারীরা ক্লিনিকের বিভিন্ন সরঞ্জামও ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও র‌্যাব ঘটনাস্থলে যায়।

ঘটনার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম ও পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এখন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

চান্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্যসচিব আবদুল মান্নানের বাড়ির পাশে একটি ক্লিনিকের জন্য নতুন রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ জলিল ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুপরে এ ঘটনার খবর পেরে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।