বিনোদন ডেস্ক : পর্দায় কিংবা পর্দার বাইরে, সালমান খান বরাবরই ‘হেডলাইন’ বানানোর ওস্তাদ। তার জীবনে অনেক নারী এসেছেন, গেছেন। কিন্তু এই বলিউড তারকার জীবন থেকে ঐশ্বরিয়া রাই চলে যাওয়ার পর তার জীবনটাই ওলট-পালট হয়ে যায়। বলিউডে সবচেয়ে চর্চিত প্রেমকাহিনিগুলোর মধ্যে একটি অ্যাশ-সাল্লুর ভালোবাসা যা আজো কেউ ভুলতে পারেনি।
১৯৯৭ সাল থেকে সালমান আর ঐশ্বরিয়ার প্রেমের গল্পগাথা শুরু হয়। সালমান তখন রীতিমতো তারকা। আর রাই সুন্দরী তখন তার বলিউড ক্যারিয়ার সবে শুরু করছেন। তারপর আরো শোনা গেছে, তখনই সালমান এই বলিউড সুন্দরীর ক্যারিয়ারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নেন। ছবির প্রযোজকদের তিনি অনুরোধ করতেন তাদের ছবিতে অ্যাশকে নেওয়ার জন্য।
সালমানের হাত ধরেই বড় সুযোগ পান ঐশ্বরিয়া। সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির নায়িকা হন এই বলিউড অভিনেত্রী। ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ সিনেমার শুটিং চলার সময় একে অপরকে দিল দিয়ে বসেন।
সালমান-অ্যাশ পরস্পরের কাছে আসেন। তাদের মধ্যে গভীর ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়। এমনকি সালমানের ব্যক্তিগত জীবনেও অ্যাশের দারুণ প্রভাব ছিলো। সাবেক বিশ্বসুন্দরী ধীরে ধীরে খান খানদানের একজন হয়ে ওঠেন।
জানা যায়, সালমানের বন্ধুরা ঐশ্বরিয়াকে ‘ভাবি’ বলে সম্বোধন করতেন। কিন্তু রাই পরিবার কখনই সালমানের সঙ্গে তাদের মেয়ের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি। অ্যাশকে তারা সালমানের থেকে দূরে থাকতে বলে। বলিউডের ভাইজান তাদের প্রেমকে বিয়ের রূপ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঐশ্বরিয়া বেঁকে বসেন। তিনি চেয়েছিলেন মন দিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে। তাই বিয়ের প্রস্তাব অ্যাশ ফিরিয়ে দেন। সালমান বলিউড সুন্দরীকে রাজি করানোর জন্য গভীর রাতে তার ফ্ল্যাটে গিয়ে হাজির হন।
এমনকি এই বলিউড তারকা রাগে অন্ধ হয়ে গিয়ে ১৭ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করার হুমকি দেন। কিন্তু কিছুতেই অ্যাশ সেদিন তার ফ্ল্যাটের দরজা খোলেননি। সকাল পর্যন্ত সালমান সাবেক বিশ্বসুন্দরীর ফ্ল্যাটের দরজা পেটাতে থাকেন। এর ফলে তার হাত রক্তাক্ত হয়ে যায়।
ঐশ্বরিয়ার বাবা সাল্লু মিয়ার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে এই ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেন। ঐশ্বরিয়া বিষয়টি পরে জানতে পেরে ভীষণ কষ্ট পান। তিনি স্থির করেন আর সালমানের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখবেন না। এরপর সাল্লু ভাই যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে সোজা অ্যাশের ‘কুছ না কহো’ ছবির সেটে হানা দেন। এমনকি সেটের মধ্যে বলিউড সুন্দরীর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। এরপর অ্যাশ তার সঙ্গে সব সম্পর্ক চুকিয়ে দেন।
এছাড়া একটি সাক্ষাৎকারে ঐশ্বরিয়া বলেন, সম্পর্কে থাকার সময় সালমান নানা কারণে তাকে অপমান করতেন, এমনকি গায়েও হাত তুলতেন।