কে এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো : ফুল ফটুক আর নাই ফুটুক, বসন্তের আগমন। শেষ সময়ে বেশ আলোড়ন তুলেই বিদায় নিচ্ছে শীত। গুটি গুটি পায়ে আসছে বসন্ত। পুরো পৌষে শীতের তেমন কোনো আনাগোনা না থাকলেও মাঘের শুরু থেকে সারাদেশে জাঁকিয়ে পড়তে শুরু করে শীত, সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহ। দুই-একদিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ স্তিমিত হয়ে আসছে, ফলে শীতের প্রকোপ কমতে শুরু করেছে। কুয়াশা কেটে গিয়ে ঝরঝরে রোদের দেখা মিলছে। প্রকৃতি ঝরঝরে হচ্ছে, পাতাঝরা প্রকৃতিকে অবলোকন করছি আমরা। ফুল ফুটুক বা নাই ফুটুক, বসন্তের আগমন আর মাত্র কয়েক দিন বাদেই। ঋতুচক্রের হিসাবে শীতকাল শেষে আসছে বসন্তকাল। অর্থাৎ ফাল্গুন আর চৈত্র মাস।
শীতের রিক্ততা শেষে ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে নতুন করে সাজতে শুরু করেছে প্রকৃতি। দখিনা বাতাস আর নানা রকম ফুলের সৌরভ জানান দিচ্ছে এসে গেছে বসন্ত। কবি-লেখকরা এই ঋতুকে বলছেন সৃজনশীলতার ঋতু। দখিনা বাতাস আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মানুষের মনকে করে তোলে এমন উদাস। বসন্ত মানেই পূর্ণতা। বসন্ত মানেই নতুন প্রাণের কলরব। প্রকৃতির সবচেয়ে সুন্দর দুই ঋতু হল, শীত ও বসন্ত। শীতের সকালগুলো আমরা যেভাবে উপভোগ করি ঠিক একইভাবে বসন্তের প্রকৃতি আমাদেরকে মুগ্ধ করে। এই দুই ঋতু মানুষকে যেন প্রকৃতি তার আরও অনেক কাছে টানে। যদিও শীত এবার গিয়েছে অনেকটা নিরবে। বলা যায় মহামারী করোনার কারণেই শীত আমাদের কাছে আতঙ্কের বিষয় হয়ে ছিল। কারণ এই শীতেই করোনাভাইরাস সারাবিশ্বে তান্ডব চালিয়েছে। সেই আতঙ্ক আমাদের পিছুও ছাড়েনি। তবে আশার কথা, দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে। শীতে খুব একটা অস্থিরাবস্থা হয়নি। আসছে বসন্তে করোনা দেশ থেকে বিদায় নিক। আগামী শীত ও বসন্ত নিয়ে আসুক সুস্থ পৃথিবী, এটাই কাম্য।