শ্যামনগর

শ্যামনগর আতরজান মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ পদে জামায়াত নেতাকে নিয়োগের অপচেষ্টা

By daily satkhira

February 17, 2021

নিজস্ব প্রতিনিধি : ঐতিহ্যবাহী নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শ্যামনগর আতরজান মহিলা মহাবিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগে বিজ্ঞ আদালতে আপিল মামলা উপেক্ষা করে মহাবিদ্যালয়টিতে অধ্যক্ষ পদে নাশকতার মামলার আসামী জামায়াত নেতা উপাধ্যক্ষ আমীর হোসেনকে নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী অবসরে যাওয়ায় অধ্যক্ষ পদটি শূন্য হয়। বেসরকারী কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগের সকল বিধিবিধান অনুসরণ করে কলেজের গভর্নিং বডি ২০১৬ সালে এ কে এম মিজানুর রহমান কে নিয়োগ প্রদানের সুপারিশ করেন। অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর আবেদন করা হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ১৬৩৪৪/২০১৬নং রীট পিটিশন করেন। রীট পিটিশনটি প্রত্যাহার হওয়ায় এ কে এম মিজানুর রহমান তার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ বহাল দাবী করেন। অধ্যক্ষ পদটি শূন্য দেখিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিরুদ্ধে বিজ্ঞ শ্যামনগর সহকারী জজ আদালত সাতক্ষীরা দপ্তরে প্রতিষ্ঠানটির অভিভাবক সদস্য বজলুর রশিদ বাদী হয়ে দেং-১৫৩/২০২০নং মামলা করেন। মামলার রায়ে বাদীপক্ষ বজলুর রশিদের অনুকূলে না হওয়ায় পুনরায় বিজ্ঞ জেলা জজ আদালত সাতক্ষীরা মিস্ আপীল ০৪/২০২১নং মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত গত ইং- ০৮/০২/২০২১ তারিখে কলেজ কর্তৃপক্ষকে উকিল নোটিশ প্রদান করেন। অথচ নোটিশটি অদৃশ্য কারণে গোপন রেখে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া করা হচ্ছে মর্মে অভিযোগ উঠে। আপীল কেসটির পরবর্তী ধার্য তারিখ ২৮/০২/২০২১। অধ্যক্ষ পদটিতে বিভিন্ন কৌশলে গত ইং- ০৯/০২/২০২১ তারিখ শুক্রবার সাতক্ষীরা সীমান্ত আদর্শ কলেজে নিয়োগ বোর্ডের সকল দাপ্তরিক কার্যক্রম প্রস্তুতি সম্পন্ন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অধ্যক্ষ পদে সকল আবেদনকারীরা উপস্থিত না হওয়ায় পরীক্ষা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। অথচ একজন পরীক্ষার্থী উপাধ্যক্ষ আমীর হোসেনের বিরুদ্ধে জামায়াতের সক্রিয় অংশ গ্রহনের জামায়াতের অর্থদাতা সম্পৃক্ততা থাকা সত্ত্বেও তাকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ তৎপর। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে জামায়াত নেতা ও নাশকতা মামলার আসামী আমীর হোসেন কে অবৈধভাবে নিয়োগ দিতে অপচেষ্টা করা হচ্ছে মর্মে একাধিক ব্যক্তি সহ মুন্সীগঞ্জ কলেজের প্রভাষক মোশারাফ হোসেন জানান। ২০১৩ সালে এই আমির হোসেনের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় নাশকতার মামলা হয়। মামলা নং ০৬। শ্যামনগর আতরজান মহিলা কলেজের নিয়োগ প্রাপ্ত অধ্যক্ষ এ.কে.এম মিজানুর রহমান বিদেশে অবস্থান করায় মহামারী করোনার কারণে দেশে ফেরৎ আসতে পারছেন না। তার অনুপস্থিতি দেখিয়ে আপিল মামলা গোপন রেখে অত্র কলেজের সভাপতি মহাপরিচালককে ভুল বুজিয়ে ডিজি প্রতিনিধি নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত হওয়ার ক্ষেত্রে আইনগত কোন বাধা নেই মর্মে একটি আদেশ নিয়ে আসেন এবং বিভিন্ন অপকৌশলে উপাধ্যক্ষ আমীর হোসেন কে নিয়োগ দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। গভনিং বডির সভাপতি এস এম আফজালুল হক জানান, আমরা দুই দুইবার নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু দিনের দিন পরীক্ষার্থী হাজির না হওয়ায় ও বিভিন্ন সমস্যার কারনে অধ্যক্ষ পদে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি ও পরীক্ষা দেখানো হয়নি। পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মেয়াদ থাকায় একই পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারবে। জামায়াত নেতা উপাধ্যক্ষ আমীর হোসেন জানান, পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক অধ্যক্ষ পদে আবেদন করেছি। এ ব্যাপারে বিজ্ঞ আদালতের নোটিশের প্রেক্ষিতে এবং আপিল মামলা নং ০৪/২০২১ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অধ্যক্ষ পদে পুনরায় নিয়োগ না দেওয়ার জন্য সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।