নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক জন সচেতনতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহের অংশগ্রহণ মূলক সমন্বিত পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক (ডিডিএলজি) তানজিল্লুর রহমান। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল। প্রকল্পনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. নূরুল ইসলাম, কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার রবিউল ইসলাম, রতনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হোসেন, ডিআই-২ ইন্সপেক্টর রিজাউল ইসলাম, গ্রাম আদালতের সুবিধভোগী ভুরুলিয়া গ্রামের আয়রুন নেছা প্রমুখ। যে কোন ধরনের বিবাদ মিমাংসার জন্য আদালতে না গিয়ে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে অনেক বিবাদ মিমাংসা করা সম্ভব। এ লক্ষ্যে সাতক্ষীরার জেলার ৪ টি উপজেলার মোট ৪৭টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালত কার্যক্রম পরিচালনা করেন যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে অনেকেই উপকারভোগী হয়েছেন।সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের ডিস্ট্রিক ফ্যাসিলিটেটর এস এম রাজু জবেদ। সভায় বক্তারা বলেন, গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ অনুযায়ী ছোট খাটো ফৌজদারী ও দেওয়ানী বিরোধ স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত গঠিত হয়্ এখানে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যমানের ফৌজদারী ও দেওয়ানী বিরোধী নিস্পত্তি করতে পারে। গ্রাম আদালতে অল্প খরচে, স্বল্প সময়ে এবং অতি সহজে বিরোধ ও বিবাদ নিস্পত্তির সুযোগ রয়েছে। প্রতিনিধি মনোনয়নে আবেদনকারী ও প্রতিবাদী সমান সুযোগ পায়। পক্ষগণ নিজের কথা নিকে বলতে পারে, আইনজীবীর সরকার হয় না। গ্রাম আদালতে সমঝোতার ভিত্তিতে বিরোধী নিস্পত্তি হয়, এক বিরোধ থেকে অন্য বিরোধ সৃষ্টির সম্ভাবনা কম থাকে। বিশেষ গ্রাম আদালতে দ্রুত এবং সঠিক বিচার করা সম্ভব হয়। যে কারণে গ্রাম আদালতে মামলা নিস্পত্তিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।