রাজনীতির খবর : প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে জাতির পিতা বলে ঘোষণা দেয়ার অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। রমনা থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম এ মামলা করেন।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রমনা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক এল কে চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রমনা থানায় মামলাটি করা হয়েছে। পরদিন থানা থেকে মামলার এজাহার আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক মামলার এজাহার গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১২ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে লন্ডনে আয়োজিত এক কর্মীসভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার বক্তব্যের একপর্যায়ে বলেন, ‘তাহলে নেত্রীবৃন্দ আজ কি এই সভায় যারা উপস্থিত আছেন, আজ এই সভায় ক্যামেরার মাধ্যমে, প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কি আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি? আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা। আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুধু বাঙালি জাতি না, বাঙালিসহ ৫৫১২৬ বর্গমাইলের মধ্যে যতগুলো জাতি বাস করে যারা বাংলাদেশি জাতির পরিচয় বহন করে, যারা নিজেদের বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দেয়, সেই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জাতির পিতা বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা। আমরা কি আজ সকলে মিলে এই প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারি? তাহলে আজকে থেকে সিদ্ধান্ত হলো- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা।’
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘কর্মীসভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশে চলমান স্থিতিশীল পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চাওয়ার উদ্দেশ্যে এমন মনগড়া মিথ্যা তথ্য সম্বলিত উদ্ভট যুক্তি প্রদান করেন। তিনি জাতির জনককে নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করেছেন। তার ইচ্ছাকৃত ইতিহাস বিকৃতির এ বক্তব্য জনমনে বিভ্রান্তি তৈরির মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলার অবনতির উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়েছে। তিনি তার আলোচনায় মনগড়া ভিত্তিহীন আক্রমণাত্মক তথ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের বাঙালি জাতির পিতাকে নিয়ে অসত্য, মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে গুজব সৃষ্টিকারী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে।’