বিদেশের খবর : রাশিয়ার বিরোধী দলের নেতা অ্যালেক্সি নাভালনিকে বিষপ্রয়োগে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দেশটির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার বাইডেন প্রশাসন এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সাত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং ১৪টি কোম্পানির ওপর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, যারা রাসায়নিক উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর এখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকেও রাশিয়ার ওপর একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। নাভালনিকাণ্ডে বিরোধের জেরে এরই মধ্যে ইউরোপীয় কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে রাশিয়া। জবাবে জার্মানি, পোল্যান্ড ও সুইডেন রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে। ইইউ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের হুশিয়ারিও দিয়েছে। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে গত বছর সাইবেরিয়া থেকে মস্কোয় ফেরার পথে পুতিনের এই কড়া সমালোচক সোভিয়েত সময়কালীন বিষাক্ত নার্ভ এজেন্ট নোভিচক দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। বিষপ্রয়োগে অসুস্থ নাভালনি কোমায় চলে গিয়েছিলেন। পরে জার্মানিতে দীর্ঘদিনের চিকিৎসায় তিনি সুস্থ হয়ে ও্ঠেন। এতেই ক্ষান্ত হয়নি রুশ প্রশাসন। জার্মানি থেকে গত ১৭ জানুয়ারি মস্কো ফেরার পর বিমানবন্দরেই আটক করা হয় নাভালনিকে। পরে মস্কোর একটি আদালত তাকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। নাভালনির মুক্তির দাবিতে তার সমর্থকরা রাশিয়াজুড়ে বিক্ষোভ করছেন। রাশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসেন। তাদের অভিযোগ— রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ক্ষমতা দীর্ঘ করতে নাভালনিকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তার নির্দেশেই নাভালনিকে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছিল। তবে নাভালনিকে বিষপ্রয়োগের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রুশ সরকার। বরং তারা সত্যিই নাভালনিকে নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।