বিনোদন

‘ধর্ষক’ নাঈমের সাথে সেলফি: মুখ খুললেন মৌসুমী হামিদ

By Daily Satkhira

May 19, 2017

রাজধানীর  বনানী ধর্ষণের ঘটনার অন্যতম আসামি ধর্ষক আবদুল হালিম ওরফে নাঈম আশরাফের সাথে সেলফি তোলার খেসারত দিচ্ছেন অনেকেই। এবার এই তালিকায় যোগ হলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমি হামিদও। নাঈম আশরাফের সঙ্গে একটি সেলফি তুলে সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই অভিনেত্রী।

অনেক শোবিজ তারকার সাথে তার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে অালোচনা সমালোচনারও শেষ নেই।

ইতিমধ্যে এমন ঘটনায় ইটিভি থেকে চাকরি খুইয়েছেন জনপ্রিয় সংবাদ উপস্থাপিকা ফারহানা নিশো।

তবে  মৌসুমি এটাকে প্রথমে পাত্তা দিতে চাননি। কিন্তু দিন দিন ফেসবুকে সেলফিটি নিয়ে নাঈমের সঙ্গে মৌসুমির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দাবি করে মনগড়া অনেক পোস্ট-স্ট্যাটাস বাড়ছেই। এ নিয়ে বিব্রত অবস্থায় পড়েছেন মৌসুমি। বাধ্য হয়েই এতদিন চুপ থাকলেও অবশেষে মুখ খুলেছেন তিনি।

মৌসুমি হামিদ বলেছেন, ‌‌ধর্ষক নাঈমের সঙ্গে ওই একবারই আমার দেখা হয়েছে। এর আগে অরিজিত সিং ও নেহা কাক্কারের কনসার্টে পারফরম করার জন্য সে (নাঈম আশরাফ) আমাকে বলেছিল। তবে যেকোনো কারণে আমি কাজটি করিনি। ২০১৫ সালে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত নেপালের সহযোগিতায় ‘কনসার্ট ফর নেপাল’-এ আমাদের এক সহকর্মীর আমন্ত্রণে রাজধানীর কলাবাগান মাঠে যাই। সেখানে কনসার্টে পার্থ বড়ুয়াসহ মিডিয়ার অনেক সেলিব্রেটি অংশ নেন। আমি জানতাম না আয়োজনটির সঙ্গে ধর্ষক নাঈম জড়িত। ছবিটি সে সময়ের। কারও চেহারা দেখে তো ভালো মন্দ বোঝার কোনো উপায় নেই। তবে সম্প্রতি ধর্ষকের সঙ্গে ওই ছবি নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে আমাকে জড়িয়ে। আমি খুবই বিব্রত। একটা সেলফি তোলার দায় কখনো নেয়া যায় না।

এই অভিনেত্রী বলেন,  আজ আমি অভিনেত্রী বলে শোবিজে কাজ করি বলে আমাকে নিয়ে যত সমালোচনা হচ্ছে। আমার মতো আরও অনেক শিল্পী বা তারকাদের নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। কিন্তু ওই ধর্ষকের সঙ্গে তো আরও অসংখ্য মানুষের সেলফি আছে যারা শোবিজের বাইরের মানুষ। অনেক গণমান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গেও নাঈম আশরাফের সেলফি রয়েছে। তাদের নিয়ে তো কোনো আলোচনা দেখি না। কোনো গণমাধ্যমও সেইসব সেলফি নিয়ে উস্কানি দিয়ে কোনো সংবাদ লেখে না। তবে সবাই মিডিয়ার মানুষকে নিয়ে সমালোচনা করতে মজা পায় কেন ? একটা খুনের শাস্তি মৃত্যদণ্ড না হলেও একটা ধর্ষণের শাস্তি অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত। প্রত্যেকটা ধর্ষণ মামলার বিচার যেন অবশ্যই এবং দ্রুত কার্যকর করা হয়। এটা পৃথিবীর জঘন্যতম অপরাধ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।