ফিচার

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ঐতিহাসিক নির্বাচনে সভাপতি বাপী, সম্পাদক সুজন

By Daily Satkhira

March 06, 2021

এম বেলাল হোসাইন : দীর্ঘদিনের বিরোধ, হামলার মামলার পর আদালত পর্যন্ত গড়িয়ে অবশেষে বিজ্ঞ আদালতের এক যুগান্তকারী নির্দেশে সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবে সকল প্রকার বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে ঐতিহাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই ভোটের মমতাজ আহমেদ বাপী-মোহাম্মদ আলী সুজনের নেতৃত্বাধীন প্যানেল ১৩টি পদের মধ্যে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১২ টি পদে জয় পেয়েছে। শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ১০৪ জন ভোটারের মধ্যে ১০৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

নির্বাচনে ৫৪ জন ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মমতাজ আহমেদ বাপী, তার নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী ৪৮ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। ৫২ ভোট পেয়ে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছে হাবিবুর রহমান, তার নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বি আব্দুল ওয়াজেদ কচি ৫১ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে ৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ আলী সুজন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আবুল কাসেম পেয়েছেন ৪৩ ভোট। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল জলিল, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইয়ারব হোসেন পেয়েছেন ৫১ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিস। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রবিউল ইসলাম পেয়েছেন ৪১ ভোট। অর্থ সম্পাদক পদে শেখ মাসুদ হোসেন ৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোশাররফ হোসেন পেয়েছেন ৪৬ ভোট। সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে শহিদুল ইসলাম ৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কৃষ্ণমোহন ব্যানার্জি পেয়েছেন ৪৩ ভোট। দপ্তর সম্পাদক পদে শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না ৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইব্রাহিম খলিল পেয়েছেন ৪৭ ভোট। কার্যনির্বাহী সদস্য পদে আব্দুল গফুর ৫৭ ভোট, মকসুমুল হাকিম ৬০ ভোট, মাসুদুর জামান সুমন ৫৫ ভোট, এম শাহীন গোলদার ৫৭ ভোট এবং ৫৪ ভোট পেয়ে সেলিম রেজা মুকুল ৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বি আব্দুস সামাদ পেয়েছেন ৪৬ ভোট, এ্যাড. খায়রুল বদিউজ্জামান পেয়েছেন ৪৪ ভোট, গোলাম সরোয়ার পেয়েছেন ৪৬ ভোট এবং ফারুক রহমান পেয়েছেন ৪৪ ভোট। উল্লেখ্য: সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব নিয়ে সদস্যদের মধ্যে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ বিরাজ করছিল। এ নিয়ে হামলা, মামলার পর আদালত পর্যন্ত যাওয়ার আদালতের নির্দেশেই ভোটার তালিকা প্রণয়নপূর্বক শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচিত অনুষ্ঠিত হয়।