আসাদুজ্জামান : বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের চিংড়ি সম্পদকে আরও গ্রহনযোগ্য করে তোলার লক্ষ্যে পরিবেশ বান্ধব উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে। মাটি পািন ও পলির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতিতে দেশে আরও বেশি পরিমান চিংড়ি উৎপাদন সম্ভব। শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত চিংড়ি চাষ বিষয়ক এক কর্মশালায় এ কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ প্রতিমন্ত্রি নারায়ন চন্দ্র চন্দ। তিনি বলেন বাংলাদেশের কে কোথায় কোন পদ্ধতিতে চিংড়ি উৎপাদন করছেন তা নিশ্চিত করতে ইলেকট্রনিক ট্রেস্যাবিলিটি চালু করা হয়েছে। হ্যাচারিতে পোনা থেকে খামারে অবমুক্তকরন এবং বিদেশে রফতানি পর্যন্ত সকল তথ্য এতে ফুটে উঠবে। এতে চিংড়ি উৎপাদনে কোনো ধরনের অনিয়ম থেকে থাকলে তার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট গ্রুপের ওপর পড়বে। ফলে বাংলাদেশের চিংড়ির রফতানি বাজার নষ্ট হবার সুযোগ থাকবে না। প্রতিমন্ত্রি বলেন খামরিরা যাতে বঞ্চিত না হন সে বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি হিসাবে দেশের নদী খাল পলিযুক্ত হয়ে পড়লেও তা খননের উদ্যোগ নেবে সরকার। তিনি বলেন আমরা দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসাবে দেখতে চাই। দেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয় মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রি আরও বলেন দেশ এখন এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কর্মশালায় চিংড়ি চাষীদের হাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দেওয়া হয়। কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন মৎস্য অধিদফতর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদুল হক, হিমায়িত খাদ্য রফতানি সমিতির পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির, দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ আল আসাদ প্রমুখ। কর্মশালায় বলা হয় দেশে এখন প্রতি বছর ৮৫ হাজার মেট্রিক টন চিংড়ি উৎপাদিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে বিদেশে রফতানি হয় ৪০ হাজার মেট্রিক টন। কেবলমাত্র সাতক্ষীরায় উৎপাদিত চিংড়ির পরিমার প্রায় ২৬ হাজার মেট্রিক টন।