অনলাইন ডেস্ক : জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রথমবারের মতো ৪ বাংলাদেশি নারী বিচারক অংশ নিতে যাচ্ছেন। রোববার (৭ মার্চ) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. মো. রেজাউল করিম এই তথ্য জানান।
চার বাংলাদেশি নারী বিচারক মধ্যে ৩ জন দক্ষিণ সুদানে এবং ১ জন সোমালিয়ায় যোগ দেবেন।
তারা হলেন- মুন্সীগঞ্জের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আফসানা আবেদীন ও টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরিন মাহবুবা, কক্সবাজার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক (জেলা জজ) জেবুন্নাহার আয়শা ও জামালপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ লুবনা জাহান।
ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, মুন্সীগঞ্জের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আফসানা আবেদীন ও টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরিন মাহবুবা ৮ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় দক্ষিণ সুদানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। এ উপলক্ষে রোববার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার তাদের বিদায়ী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এই সময় যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহাসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের বিচারক হিসেবে কক্সবাজার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক (জেলা জজ) জেবুন্নাহার আয়শা ১৯ মার্চ দক্ষিণ সুদানের উদ্দেশে এবং জামালপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ লুবনা জাহান ১৫ মার্চ সোমালিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। তারা সেখানে রুল অব ল’ অ্যাডভাইজরি শাখায় এক বছর প্রেষণে জাস্টিস অ্যাডভাইজার হিসেবে বিচার ব্যবস্থা পুনর্গঠন ও উন্নয়নে কাজ করবেন।
এ জন্য সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে আইন ও বিচার বিভাগ থেকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ তারিখে আলাদা তিনটি প্রজ্ঞাপনে এই ৪ বিচারককে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নারী বিচারকদের এই অংশগ্রহণ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ বিচার বিভাগের জন্য একটি মাইলফলক। আশা করি, বিশ্ব শান্তি ও মানবাধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশের নারী বিচারকরা তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে দেশের সুনাম বয়ে আনবেন।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস। এ দিবসে ২ জন নারী বিচারকের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেওয়া দেশের বিচার বিভাগের জন্য বিশাল প্রাপ্তি।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি নারী বিচারকদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বশান্তি রক্ষা কার্যক্রম আরও মজবুত হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।