সাতক্ষীরা

ফেসবুকে সম্মানিত ব্যক্তিদের নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট, ইয়ারবের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা

By daily satkhira

March 09, 2021

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব নির্বাচনে পরাজিত হয়ে নবনির্বাচিত সভাপতিসহ সহকর্মীদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর স্ট্যাটাস প্রদান করায় ইয়ারব হোসেনের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে তার বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান। মামলা নং-২৬. তারিখ-০৯.০৩.২১ মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মার্চ ২০২১ তারিখে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। উক্ত নির্বাচনে সম্মিলিত সাংবাদিক ঐক্যপরিষদের প্যানেলে যুগ্ম সম্পাদক পদে প্রতিদ্বিন্দ্বতা করেন তুজুলপুর গ্রামের মৃত. ইছাক মোড়লের ছেলে ইয়ারব হোসেন। নির্বাচনে প্যানেল ১২ জন প্রার্থী বিজয়ী হলেও ১ ভোটের ব্যবধানে ইয়ারব হোসেন পরাজিত হন। এ নিয়ে তিনি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নব নির্বাচিত সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী, সাংবাদিক আসাদুজ্জামানসহ কয়েকজন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তার নিজস্ব ফেইজবুক আইডি Yeorab Hossain হইতে গত ইং-০৬/০৩/২০২১ তারিখে পর পর ৬/৭ টি মানহানিকর স্ট্যাটাস প্রদান করেন এবং উক্ত স্ট্যাটাসের মধ্যে পরোক্ষ ভাবে চাঁদা দাবি করেন। যাহা এ মামলার বাদী মোবাইলে স্ক্রিন শটের মাধ্যমে উক্ত কুরুচী পূর্ন মানহানিকর ও চাঁদা সংক্রান্তে স্ট্যাটাস সমূহ সংরক্ষন করেন। তাছাড়া আসামী এ মামলার বাদীর বিরুদ্ধেও তার নিজস্ব ফেইজবুক আইডিতে স্ট্যাটাস প্রদান করেন। তাহার স্ট্যাটাস সমূহের মধ্যে“সভাপতি বাপীকে চেয়ারে বসতে দেবে না, আমি একা বের করবো”। “বিজয়ী সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ ৬ জনকে দ্রুত পদত্যাগ করার অনুরোধ করছি, না হলে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে”। “আমি আমার প্যানেলে সকলকে ভোট দিয়েছি। প্রমান দেব। কিন্তু একসাথে থেকে সভাপতি ভাই আছাদ, আরো তিনজন তারা ভোট দিল না। আছাদ রেডি থাকেন ব্যবস্থা হবে। বড় চাঁদাবাজ”। “সভাপতি বাপীর ভাই আমাকে ভোট দেয়নি। সভাপতিকে কৈফিয়াত দিতে হবে। সভাপতির চেয়ারে বসতে দেব না। আরো দুইজন সনাক্ত। একসাথে চলেন অনলাইন জলিলের লোক”। উক্ত আসামী তার নিজস্ব ফেইজবুক আইডি হইতে উপরোক্ত কুরুচিপূর্ন মানহানিকর ও চাঁদার দাবিসহ হুমকি প্রদর্শন করিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করিয়া বাদী ও প্রেসক্লাবের নব নির্বাচিত সভাপতিসহ প্রেসক্লাবে জড়িত সকল সাংবাদিককে সামাজিক ও মানসিকভাবে মানক্ষুন্ন করিয়াছেন এবং বিজ্ঞ জজ আদালত সাতক্ষীরা আদেশের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার সাতক্ষীরার নেতৃত্বে পেসক্লাবের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও সামাজিক ভাবে হেয় করিয়াছেন। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইয়ারব হোসেনের এধরনের উদ্দেশ্যে প্রণোদিত স্ট্যাস্টার্স সাংবাদিকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে যে কোন মুহুর্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটনার আশংকা রয়েছে। সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন বিপ্লব কুমার মামলা রেকর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ মামলার আসামী ইয়ারব হোসেনকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।##