ফিচার

বাদল-মির্জা বিরোধ : কোম্পানীগঞ্জে আ. লীগ নেতা বাদল ‘আটক’

By Daily Satkhira

March 11, 2021

অনলাইন ডেস্ক : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলকে (৪৯) ‘সাদা পোশাকধারী পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে’ বলে দাবি করছে তার পরিবার। তবে এ নামে কেউ আটক নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

মিজানুর রহমান বাদল উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের চরকালী গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আলম চৌধুরীর ছেলে।

বাদলের স্ত্রী সেলিনা আক্তার কাকুলি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে মিজানুর রহমান বাদল জেলা শহর মাইজদীতে যায়। বিকেলে একদল সাদা পোশাকধারী পুলিশ জেলা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।

এদিকে মিজানুর রহমান বাদলের সাথে থাকা চরএলাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক জানান, মিজানুর রহমান বাদল এবং তিনি বিকেলে প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় কয়েকজন সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ বাদলকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। তবে এসময় তিনি (রাজ্জাক) একটু দূরে ছিলেন।

মিজানুর রহমান বাদলের ছোট ভাই রহিম উল্যাহ বিদ্যুত জানান, ভাইয়া নিজেই নোয়াখালী ডিবি পুলিশের হাতে ধরা দিয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কেনো কাদের মির্জাকে গ্রেপ্তার করছে না?

তাই তিনি নিজে ধরা দিয়েছেন বলে বিদ্যুত দাবি করেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মুহাম্মদ আবু হুসাইন খান জানান, এ নামের কোনো ব্যক্তিকে ডিবি পুলিশ আটক করেনি।

তবে একাধিক সূত্রে জানা যায়, তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

প্রসঙ্গত, গত দেড় মাস ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিহবন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই মেয়র মির্জা কাদেরের সাথে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের বিরোধের জের ধরে পুরো উপজেলা জুড়ে এক অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এক সময় দু’গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিলে পৃথক পৃথক এলাকায় দুইবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গোলাগুলিতে সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কিরসহ সিএনজি চালক ও যুবলীগ কর্মী আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।

বসুরহাট বাজারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নিজ কার্যালয়ের সামনে নারী দিবসের অনুষ্ঠানে ও পরে বসুরহাট বঙ্গবন্ধু চত্বরে মির্জার সমর্থকদের ওপর হামলা অভিযোগ এনে বুধবার রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে প্রধান আসামি করে ৯৭ জনের নামে মামলা দায়ের করেন ছাত্রলীগ নেতা আরিফুর রহমান। এ মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে তিন নম্বর আসামী করা হয়েছিল। এছাড়াও এ মামলায় অজ্ঞাত ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।